সাংবাদিককে ‘মোবাইল চোর’ আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নাবিল গ্রেফতার
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এক সাংবাদিককে ‘মোবাইল চোর’ আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ছেলে নাবিল হায়দার। বোরহানউদ্দিনের উপজেলার একটি বাসা থেকে নাবিলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের লালমোহন সার্কেলের এডিশনাল পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে তিনি বলেন, ‘নাবিলসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার নাবিলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।’
অনিয়মের অভিযোগে নিউজ করতে গেলে স্থানীয় ডব্লিউ নিউজের সম্পাদক সাগর চৌধুরীকে মারধর করেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বোরহানউদ্দিনে রাজমনি সিনেমা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় নাবিলের করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (সহ-সভাপতি) নুরুল হক নুরকেও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে নাবিলের বিরুদ্ধে। ওই সময় নূর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন।
নাবিল হায়দার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ভোলা জেলার ছাত্র-ছাত্রী দের সংগঠন দ্বীপ’র পরিকল্পনা ও কর্মসূচী সম্পাদক বলে জানা গেছে। এছাড়া বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন নাবিল।
পড়ুন: সাংবাদিকের কলার ধরে ‘মোবাইল চোর’ বললেন ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা
মারধরের শিকার সাংবাদিক সাগর চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, তাকে ফোন করে বাসা থেকে রাজমনি সিনেমার কাছে নিয়েই মারধর শুরু করে নাবিল। তার মোবাইল দিয়ে লাইভ করে বলে, আমি নাকি তার মোবাইল চুরি করেছি।
এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিক সাগরের জামার কলার ধরে তাকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিচ্ছেন নাবিল। আশেপাশে অনেক মানুষ দাড়িয়ে তা দেখছেন।