মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখন যে সংগ্রাম করছি, যে লড়াই লড়ছি করছি- সেটা আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই, এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লড়াই। আমরা জানি যে, এই সংগ্রাম খুব কঠিন। ডেক্টেরশিপ থেকে ডেমোক্রেসি থেকে ফিরে আসা- এটা খুব কঠিন লড়াই।
সেই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতে হবে। সেজন্য আমাদের এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ইস্পাত কঠিন ঐক্য। একদিকে আমাদের বিএনপির ঐক্য, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলোর ঐক্য এবং অন্যদিকে একটা জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য তৈরি করেই আমাদেরকে অবশ্যই এই ভয়াবহ যে দানব আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে, এই যে ভয়াবহ একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা আমাদের ওপরে চেপে বসেছে একে সরাতে হবে।
সরকারের দমননীতির কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, ৩৫ লাখ মানুষ আসামী হয়েছেন, এক লক্ষের ওপরে মামলা হয়েছে। আমাদের হাজারের উপরে মানুষ খুন হয়ে গেছে। আমাদের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ৫‘শর উপরে গুম হয়ে গেছেন। অসংখ্য মামলায় জর্জরিত আমাদের সমস্ত নেতা-কর্মীরা। এই নিপীড়ন থেকে এমনকি আমাদের চিকিতসকরাও রেহাই পাননি। আজকে এই কোভিডের ফলে দেশে যে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, মানুষ যে অসহায় অবস্থা পড়ছে এর থেকেও আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন করোনা প্রতিরোধের জন্য আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছি, বিএনপি অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠনগুলো- ড্যাব একইভাবে আজকে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক তাকে মুক্ত করবার জন্যে, আমাদের নেতা যিনি সম্ভাবনাময় আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান সাহেবকে ফিরিয়ে আনবার জন্যে আমরা যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনকে ইস্পাত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সেলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড্যবের অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদি হাসান বক্তব্য রাখেন।
এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন জেলার চিকিতসকরা যুক্ত ছিলেন।