ছাত্রলীগের নৃশংসতা রাজশাহী পলিটেকনিক অধ্যক্ষকে গভীর পুকুরে নিক্ষেপ

সংগ্রাম ডেস্ক: দেশজুড়ে ‘আওয়ামী-আঁধার’ যুগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের হত্যা-ধর্ষন-নির্যাতন-দুর্নীতি থামছেই না। বুয়েটের দেশপ্রেমিক ছাত্র আবরার ফাহাদ এর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে প্রতিবাদ গড়ে উঠেছিল, তার প্রতিক্রিয়ায় অবৈধ সরকার ছাত্রলীগের এসব অপকর্ম বন্ধ করবে বলে জানায়। 

বাস্তবে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েই যাচ্ছে। অক্টোবর ২০১৯ এ দুই দফায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ওপর নৃশংস হামলা করে ছাত্রলীগ।  

 

রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ডুবালো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার, নভেম্বর ২, ২০১৯, দুপুর দেড়টার দিকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ধরে নিয়ে ১২ থেকে ১৫ ফুট গভীরের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। তবে সাঁতার জানার কারণে তিনি রক্ষা পান বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসতো আমার কাছে। সে সব দাবি না মানায় তারা আমার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। তাদের দাবিগুলো মানার মত থাকে না।

 

ক্লাশে উপস্থিতি কম থাকায় দুইজন ছাত্রের ফরম পুরণ হয়নি। ওই দুই ছাত্রের ফরম পুরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি।

এ সময় তারা আমাকে নিয়ে আমার সামনে অশালীন মন্তব্য করে। এতে আমি তাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে কয়েকটি কথা বলি। এর পর তারা আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বের হয়ে যায়। পরে দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় কামাল হোসেন সৌরব আমার পথ আটকে দাঁড়িয়ে বলে স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের ধারের দিকে আসেন। আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুই জনের মুখ বাধা ছিল।’ অধ্যক্ষ বলেন, যেখানে আমাকে ফেলে দিয়েছে সখানকার পানির গভীরতা ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। আমি সাঁতার জানতাম বলে বেঁচে গেছি। সাঁতার কেটে পাড়ে চলে এসেছি। সাঁতার না জানলে হয়তো আজই শেষ হয়ে যেতাম।

 

সূত্র — মানবজমিন/ নভেম্বর ২, ২০১৯ 

আরো পড়ুন