‘জনগণ আত্মঘাতী রাজনৈতিক সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি চায় না’
শুক্রবার ১৬ই নভেম্বর ২০০৭ দিন ২১৮
গত রাতে ১০টা থেকে ৪টা অবধি আমার ঘুম হয়নি বললেই চলে। সিডর নামে ভয়াবহ এক জলোচ্ছ্বাস ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার বেগে দেশব্যাপী আঘাত হেনেছে, এতে লাখ লাখ লোক ও পরিবারের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চরম দুরবস্থার শিকার হয়েছি। আমার ঘরটির পূর্বদিকের জানালাটি দিয়ে আমার ভাগ্যে প্রতিদিন কিছুটা মুক্ত হাওয়া ও সূর্যের আলো জোটে। কিন্তু জানালাটির ছিটকিনি নষ্ট হয়ে থাকায় সারা রাত গোটা জানালাটা ছিল একেবারে উন্মুক্ত। ফলে বৃষ্টিসমেত ঝড়ো হাওয়ার ঝাপটা সারা রাত আমার বিছানা ও মশারি ভিজিয়ে একাকার করে দিয়েছে। সারা রাত এই ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির মুখোমুখি হয়ে অসহায়ভাবে বসে থাকা ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না। ভেজা, শীতার্ত, চারদিকে লোকহীন অন্ধকারে নিরুপায় অবস্থায় কাঁপতে কাঁপতে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ঢাকার অবস্থাই যদি এরকম হয় তাহলে তিন কোটি জনঅধ্যুষিত উপকূলবর্তী এলাকায়, বিশেষ করে আমার নির্বাচনী এলাকার লোকদের অবস্থা কী হবে তা ভেবে আমি উদ্বিগ্ন, বিষণœ হয়ে পড়ি। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই আমরা এই দুর্যোগের ফলে প্রাণহানি, ফসলহানিসহ গবাদিপশু-ঘরবাড়ি-মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির ইত্যাদির ক্ষতিসাধন সম্পর্কে জানতে পারবো। দেশের লোকজন এমনিতেই যেখানে প্রতি বছর একের পর এক ঝড়ঝঞ্ঝা, নদীভাঙন, বর্ষা ও হিমালয় থেকে নেমে আসা বরফগলা পানিতে উপচে পড়া নদীর বন্যা ও লাখ লাখ হেক্টর জমিতে প্লাবনের ফলে দিশাহারা হয়, সেখানে গতকালের এই জলোচ্ছ্বাস নিঃসন্দেহে তাদের দুর্গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
এই প্রসঙ্গে আমার মনে পড়ে, ১৯৭০ সালের একই মাসে, ১২ই নভেম্বরের বিভীষিকাময় সেই জলোচ্ছ্বাসের কথা। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল সে মহাদুর্যোগে। ব্র্যাকের ফজলে হাসান আবেদের নেতৃত্বে আমরা ত্রাণ অভিযান চালাতে গিয়েছিলাম সেন্ট মার্টিনস দ্বীপপুঞ্জ ও মনপুরায়। সে সময়কার হাজার হাজার পচা-গলিত মৃতদেহের ওপর শকুনীদের ভোজোৎসব আজও আমার স্মৃতিতে ভাসে। বিজ্ঞান ও যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণে মানব সমাজ আজ উন্নতির শিখরে আরোহণ করলেও প্রকতির এই ভয়াবহ রুদ্রতার সামনে তারা এখনো নিতান্তই অসহায়। প্রকৃতি যখন তার রুদ্রমূর্তি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে বিজ্ঞান তখন শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করে।
অসহায় এই বিশাল জনগোষ্ঠী এখন সামান্য সাহায্য, দয়া ও সহানুভূতির জন্য কার কাছে হাত পাতবে? জনপ্রতিনিধিরা যেখানে সরকারের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সেখানে লাখ লাখ অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে কে? গৃহহীন, খাদ্যহীন, তৃষ্ণার সময়ে একফোঁটা নির্মল পানীয়ের অভাবে ধুকে ধুকে মৃত্যুপথযাত্রী এসব লোক এখন রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তাদের আর্তনাদে ভারী করে তুলেছে আকাশ বাতাস অথচ দেখাশোনা করা ও দুঃখ-দুর্দশা নিবারণের জন্য কেউ তাদের পাশে নেই।
শনিবার ১৭ই নভেম্বর ২০০৭ দিন ২১৯
অন্য কোনো গত্যন্তর থাকলে ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল অবধি পর পর তিনটি গণতান্ত্রিক সরকারের রাজনৈতিক সংস্কৃতির তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের মানুষ বোধ হয় একই পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে চাইবে না। তারা বোধ হয় চাইবে না যে, দুজন কর্তৃত্বপরায়ণ নেত্রী যারা মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে শুধুমাত্র শত্রুভাবাপন্ন অবস্থায় একজন প্রধানমন্ত্রী ও আরেকজন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে একের পর এক নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় স্বীকার না করে কেবল হরতাল, গণবিক্ষোভ এবং অসহযোগিতার ভিত্তিতে প্রতিপক্ষের পদত্যাগ দাবি করবে, মাস বা বছর অবধি সংসদ অধিবেশন বর্জন করবে, ক্ষমতাসীন দল সমস্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে অংশীদারিত্বের নীতি বিসর্জন দেবে, বিরোধী শক্তির ওপর একাধারে নির্যাতন নিষ্পেষণ চালাবে, প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি নিজ দলের লোকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে, দলীয় প্রশাসন কায়েম করে ক্ষমতাসীন দল ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটকে দলের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত লোকজনের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে, সুশাসনের স্থান দখল করে নেবে অরাজকতা, শেষ দিনটি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার মানসে বিরোধী প্রতিপক্ষকে দেয়া হবে না। বিন্দুমাত্র ছাড়, নিজেদের ভুল স্বীকার না করে প্রশাসনের ওপর স্থাপন করবে একচ্ছত্র রাজত্ব আর গণতন্ত্রকে ব্যবহার করবে স্বৈরাচারী কায়দায়।
নিঃসন্দেহে দেশের জনগণ এই আত্মঘাতী রাজনৈতিক সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। কিন্তু অবৈধ এই সামরিক সরকার একটি দিক নির্দেশনাবিহীন অবস্থায় যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে তাতে আমার মনে আশঙ্কা জন্মাচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত নিদারুণ ব্যর্থতার মুখে এই সরকারের পতনের পর সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে এই যে, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রীর শিকলে আবদ্ধ হতে বাধ্য হওয়া ছাড়া জনগণের কোনো উপায় থাকবে না ।
রোববার ১৮ই নভেম্বর ২০০৭ দিন ২২০
অবৈধ সরকারের পতন সুনিশ্চিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর জন্য খেসারত দেবে কারা? সাধারণ মানুষ? সেনাপ্রধান, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং জেনারেল মতিন, মঈনুল হোসেন, তপন চৌধুরী ও অন্যান্য উপদেষ্টারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকা-, উচ্চবাচ্য ও দুর্নীতির জন্য ইতিমধ্যে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছেন। এদের বিচার কবে হবে?
এদিকে জাতির ভবিষ্যৎ নিক্ষিপ্ত হয়েছে অনিশ্চয়তার গভীরে।
সোমবার ১৯শে নভেম্বর ২০০৭ দিন ২২১
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমার অঘোষিত আয়ের ওপর আমার আবেদন অনুসারে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৪ টাকা কর গ্রহণের জন্য অনুরোধ রক্ষা না করে সেই টাকা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে করে বিচারপতি আবদুর রশিদের বেঞ্চ থেকে দেয়া আদেশ লঙ্ঘিত হওয়ায় তা হয়েছে সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। কিন্তু কতিপয় অজানা কারণে বিচারপতি আবদুর রশিদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন নাই, বরং কেন এই অস্বীকৃতি জ্ঞাপন আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ বলে বিবেচিত হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য আদালত থেকে পৃথক একটি রিট আবেদনে রুল জারি করেছেন। এটা একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার যে, বিচারক তার নিজস্ব আদেশ লঙ্ঘিত হওয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে অনীহা প্রকাশ করলেন।
এক্ষেত্রে বিচারপতি রশিদ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়েছেন বলেই মনে করা যেতে পারে। এমনও হতে পারে যে, কোনো এজেন্সি হতে হুমকি দেওয়া হয়েছে বা তাকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সব সময়ই নিজের ভাবমূর্তি, মর্যাদা ও কর্তৃত্ব সুরক্ষায় স্বচেষ্ট। আমার ৪০ বছরের পেশাদার জীবনে আমি কখনোই সুপ্রিম কোর্টকে আদালত অবমাননার এহেন ঘটনায় আত্মসমর্পণ করতে দেখিনি।
বিচারকরা যেখানে আদালতের ভাবমূর্তি সুরক্ষায় ব্যর্থ এবং অযোগ্যতার এমন এক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ যদি বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের একটি দৃষ্টান্ত হয়, তাহলে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, আমরা এখন পর্যন্ত কার্যকরভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বা পৃথকীকরণের জন্য প্রস্তুত হতে পারিনি। যতদিন পর্যন্ত আমরা বিচারপতিদের মধ্যে কাজের প্রতি ঐকান্তিকতা, সাহস ও জ্ঞানের সমন্বয় দেখতে না পারবো, ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের স্ববিরোধী ঘটনা ঘটতেই থাকবে এবং জনগণও চরম দুর্যোগের শিকার হতে থাকবে।
গোটা জাতি এখন প্রধান বিচারপতির মেরুদ-হীন ভূমিকা সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত। গুজব আছে যে, তার পরিবারের নামে একখ- জমি থাকা সত্ত্বেও সে তথ্য গোপন করে সরকারি সুযোগ নিয়ে তিনি আরেকখ- জমির মালিক হয়েছেন এবং সে কারণে কোনো একটি এজেন্সির ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়ে তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। কথাটা কতটুকু সত্যি জানি না। তবে সর্বমহলের আইনজীবীরা আড়ালে এখন তাকে ‘মেজর রুহুল আমিন নামে’ অভিহিত করছেন। দেশের একজন প্রধান বিচারপতির জন্য এর চাইতে অপমানজনক আর কী হতে পারে? এ প্রেক্ষাপটে আমার বিভিন্ন মামলায় উনি যে রায় দিয়েছেন সেই জন্য তাকেই বা দোষ দিয়ে কী লাভ?
মঙ্গলবার ২০শে নভেম্বর ২০০ দিন ২২২
জলোচ্ছ্বাস সিডর’-এর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি। এতে মৃতের সংখ্যা সম্ভবত দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হাজার হাজার জেলে এখনো নিখোঁজ। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ। হেলিকপ্টারে সফর এবং নিজেদের ছবি টিভির পর্দায় দেখানো ছাড়া সরকারও কিছুই করতে পারছে না। লাখ লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে, হাজার হাজার শিশু পরিণত হয়েছে অনাথ এতিমে। মায়েরা হারিয়েছেন তাদের সন্তান ও স্বামী। কোনো ধরনের ত্রাণ বা অর্থ সাহায্যই তাদের এই ক্ষতিপূরণে সক্ষম হবে না। আজ যদি গণতান্ত্রিক একটি সরকারের অস্তিত্ব থাকতো তাহলে সংসদ সদস্য, মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রী, সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, শত শত বেসরকারি সংস্থা এই দুর্গত অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তো। এ সময় নিপীড়িত এই জনতার ত্রাণসামগ্রীর চাইতে বেশি প্রয়োজন হলো ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় আপ্লুত সহানুভূতিশীল সহমর্মিতাবোধ। কিন্তু আজ সেটা থেকেও তারা বঞ্চিত।
বুধবার ২১শে নভেম্বর ২০০৭ দিন ২২৩
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে দায়ের করা এক রিট পিটিশনের জবাবে হাইকোর্ট ডিভিশন এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশবলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত রেখেছে। সে চিঠিতে সাইফুর রহমান ও এম.এ হাফিজকে ২২শে নভেম্বরে নির্বাচন কমিশনে কথিত সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এতে করে দুটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা বিনষ্ট করে যে দলীয় ভূমিকা রাখছে তার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিএনপির মূলধারার নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার কর্তৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
যেখানে রাজনীবিদদের বিরুদ্ধে মামলা করে রাজনৈতিক দলগুলোকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে সেখানে সেনাপ্রধান যখন দুর্গত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন, তখন তার নির্লজ্জ আবেদনকে প্রকৃতপক্ষে কুম্ভীরাশ্রু বলেই মনে হওয়া স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার ২২শে নভেম্বর ২০০৭ দিন ২২৪
বিচারিক আদালতে বার বার হাজিরার সুবাদে আমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ যখন প্রায় বন্ধ তখন দাঁতের চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগে ডা. হেলালের মাধ্যমে আমার চিঠিপত্র, পা-ুলিপি, মামলার নোট ও আবেদনের খসড়া আমার ব্যাগে মেডিক্যাল রিপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে লুকিয়ে বিনিময় করার নতুন কায়দা অবলম্বন করতে হচ্ছে। সেনাবাহিনীর জবরদস্তি আইন ও আমাদের ওপর নিপীড়নের প্রতি বিন্দুমাত্র সমর্থন নেই বলে প্রহরারত পুলিশরাও এসব উপেক্ষা করে, দেখার ভান করে এড়িয়ে যায়।
হাইকোর্ট ডিভিশন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সম্পত্তি ও দায়দেনা ঘোষণা সংক্রান্ত দুর্নীতি কমিশনের নোটিশ অবৈধ প্রতিপন্ন করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে ‘মেজর’ রুহুল আমীনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন থেকে সেই সিদ্ধান্ত উল্টে দেয়া হবে।
অন্যের দুর্নীতি ও কুকর্মের জন্য আমাকে জেলখানায় অন্তরীণ থাকতে হচ্ছে। তবে এটা হলো দেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকারের ভেতরের ও বাইরের মহলের এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র।
(চলবে..)