যশোর-৬ ও বগুড়া-১ সংসদীয় আসনে চলছে নিয়ম রক্ষার ভোট গ্রহণ। মহামারী ও বন্যার মাঝেই ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার’ কথা বলে আয়োজন করা হয়েছে এ নির্বাচনের।
মঙ্গলবাল সকাল ৯টায় দুই নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, একটানা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
এর মধ্যে বগুড়ায় বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় ১৬টি ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর করে অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, আগের দিন ভোটের সরঞ্জাম ও সুরক্ষা সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হলেও ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়েছে মঙ্গলবার সকালে ভোট শুরুর আগে।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী রাখা হয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দেবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখবেন।
সাড়ে পাঁচ লাখ ভোটারের এ দুই উপ-নির্বাচনে সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথাগতভাবে নির্বাচন পরিচালনা ও আইন শৃঙ্খলা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলেও ভোট নিয়ে তাদের অনীহার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর জন্য এটা হতে যাচ্ছে অনেকটা ‘আনুষ্ঠানিকতার’ নির্বাচন। বিএনপি বলছে, এ সময় ভোটে অংশগ্রহণ থাকবে না; আর জাতীয় পার্টি ভোট পেছানোর দাবি জানিয়ে সাড়া পায়নি।
গত ১৮ জানুয়ারি আবদুল মান্নান মারা গেলে বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে তিন লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা যাওয়ায় যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে দুই লাখ তিন হাজার ১৮ জন ভোটার। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন শাহীন চাকলাদার।