সংকটময় পরিস্থিতির কারণে দোয়া ও ভার্চুয়াল আলোচনার মধ্য দিয়ে দেশে ও প্রবাসে শনিবার পালিত হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপি চেয়াপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদের সঞ্চালনায় দোয়া পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশে আজ যা নেই বলে দলমত নির্বিশেষে সকলে বলছেন তার অর্থ তা একসময় ছিলো। অর্থাৎ দেশে গণতন্ত্র ছিলো, বাকস্বাধীনতা ছিলো, ভোটাধিকার ছিলো। শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার দ্বারাই তা প্রতিষ্ঠিত ছিলো।
মা খালেদা জিয়াকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক উল্লেখ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন ছিলেন বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে পুরো পরিবারসহ অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। অধিকার ফিরে পাবার দীপ্ত শপথ হোক দেশনেত্রীর জন্মদিনে আজকের দৃঢ় অঙ্গীকার বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, দেশের মানুষের আস্থার মূলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থান। হাজারো ষড়যন্ত্র, নির্যাতন, রক্তচক্ষু কোনো কিছুই এ অবস্থানে ছেদ ঘটাতে পারেনি।
৮০’র দশকে চরম দু:সময়ে তিনি দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, সে সময়ও জেনারেল এরশাদের সুবিধা নিয়ে অনেক বড় নেতা চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম জিয়া এরশাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার প্রশ্নে অটল ছিলেন। তেমনি অটল ছিলেন মঈন-ফখরুদ্দিনের সাথে আপোষ করে দেশ ছেড়ে না যাবার প্রশ্নে। তাঁর এই আপোষহীন মনোভাবের কারণে তিনি আক্রান্ত আর অন্যরা সুবিধাপ্রাপ্ত।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থান এক অনন্য উচ্চতায়। তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে বিজয়ী হয়েছেন। বিগত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলোতে তিনি কখনো পরাজিত হননি। সবোর্চ্চ সংখ্যক ৫টি আসনে অংশ নিয়ে দেশের সবজায়গায় বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে উদ্বৃত করে বলেন, আমার বন্ধু মাহফুজ উল্লাহ বেগম খালেদা জিয়ার আত্নজীবনী লিখতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। সে বলেছে হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বেগম জিয়ার অবদান বর্ণনা করা সম্ভব নয়। টুকু বলেন, এই দেশ ও মানুষের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিকল্প নেই।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে সুবিধাবাদী মানুষের আনাগেনা বেশি। বেগম খালেদা জিয়া সবকিছু মোকাবিলা করে সামনে অগ্রসর হওয়ার মানসিকতা পোষণ করেন। গণতন্ত্র ও উন্নয়নে বেগম খালেদা জিয়ার নামের সাথে সমার্থক ভাবে মিশে আছে।
দোয়া মাহফিলে যোগ দেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মহিদুর রহমান, জাস্ট নিউজ সম্পাদক ও জাতিসংঘ সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী, বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ।
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য এবং দেশের মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা খায়রুল ইসলাম।