সাড়ে ১৩ শত বছর আগ থেকে এখনো পর্যন্ত এজিদ নামটি কেউ রাখেনি।

কারবালার বিজয়ী নায়ক ইবনে জিয়াদের কবর কোথায় কেউ জানেনা।
সাড়ে ১৩ শত বছর আগ থেকে এখনো পর্যন্ত এজিদ নামটি কেউ রাখেনি।

তুমি গণজাগরণ মঞ্চের বিজয়ী বীর।
তোমার জন্য সরকার প্রতিদিন একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করত। তোমার রমরমা অবস্থা। সরকার তোমাকে হাতে রাখার জন্য মিক্ষামন্ত্রীর মেয়েকে তোমার উপর লেলিয়ে দিল।

তোমার পি এস ছিল, সাংবাদিক ছিল, সিকিউরিটি ছিল, প্রাইভেট এককোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকার গাড়ী ছিল। তারকা হোটেল বুকিং ছিল, তোমার চিকিৎসা, ভরনপোষণ সব সরকার করত, তোমার মুখ থেকে একটি শব্দ শুনার জন্য শত শত সাংবাদিক তোমার পিছনে পিছনে ঘুরত। মন্ত্রীর চাইতে শক্তিশালী ছিলে তুমি।

সরকারের উপর আরেক সরকার ছিলে তুমি।
সর্বপ্রথম তোমাকে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বিতারিত করল, তোমাকে যারা পাহারা দিতো তারা তোমার গায়ে হাত তুলল, তোমার স্ত্রী তোমাকে তালাক দিল।

তুমি পালিয়ে আমেরিকা গেলে। তোমাকে আমেরিকার বিমান বন্দলে কানধরে উঠাবসা করালো। শেষে জুতা মারল, তোমাকে কোন প্রবাসী এককাপ চাও খাওয়ায়নি
যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চলে আসলে।

নির্বাচন করার জন্য পাগল হয়ে গেলে। সরকার মমতাজ, মাশরাফি আরও অনেককে নমিনেশন দিলেও তোমাকে দিলনা।

তুমি নিজ এলাকায় সতন্ত্রভাবে প্রার্থী হলে, ১% জনগনের সমর্থনের ডকুমেন্ট দিতে না পেরে তোমার নমিনেশন বাজেয়াপ্ত হল। কোথায় তোমার পিছনে লক্ষ লক্ষ জনতা। আব্দুল কাদের মোল্লার কবরে লক্ষ জনতা চোখের পানি ফেলে জেয়ারত করে, তার জন্য দোয়া করে। আর তুমি জুতার বাড়ি খেয়ে খেয়ে জীবন যাপন করছ। বিনা কারনে স্ত্রী তালাক দিল।

তুমি আত্মহত্যা করোনা ইমরান! তোমাকে দলিল হিসাবে রাখতে হবে, পৃথিবীর মানুষ তোমার থেকে শিক্ষা নিবে।

যুগে যুগে মোনাফেকের পরিনতি এভাবেই হয়।
তুমি বেচে থাক হাজার বছর,জাতি দেখুক মোনাফেকদের পরিনতি

#সংগ্রহীত

আরো পড়ুন