সিলেট নগরীর চালিবন্দর এলাকার বাসিন্দা রাজন দেব ওরফে টোকাই রাজন, পৈতৃক সূত্রে ভিটে মাটিহীন। সরকারী আয়ুর্বেদিক তিব্বিয়া কলেজের মেস দখল করে নিজের অস্থায়ী বাসভবন হিসেবে ব্যাবহার করেন। তিনি পিতা-মাতার ত্যাজ্য সন্তান, উঠতি চোর-ছিনতাইকারীদের শেল্টার দাতা। নগরীর কাষ্টঘর ও চালিবন্দর এলাকায় নিজের নামে গড়ে তুলেছেন আলাদা আলাদা বাহিনী, বাহিনীর সদস্যদের বেশির ভাগের বাড়ি খাদিমপাড়া ইউনিয়নে। এই বাহিনীর সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। নগরীতে মাদক বিক্রি, চুরি,ছিনতাই, জায়গা দখলের মত কুকর্মে জড়িয়ে পড়া তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
অন্ধকার জগতের এমন কোনো দিক নেই যেখানে টোকাই রাজনের বিচরণ নেই। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল রাজন দেব ওরফে টোকাই রাজনের অন্যতম পেশা। স্থানীয় তিব্বিয়ার মেসে বসে এসব কাজ চালাতেন তিনি। এছাড়া স্থানীয় মাদক ব্যবসা ছাড়াও চুরি ছিনতাইয়ে রাজনের বিশেষ বাহিনী সদস্যরা জড়িত ছিলো। এসব অভিযোগে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ মোট ৫টি মামলা হয়। এসব মামলায় দুইবার গ্রেপ্তারও হন। তিনি কারাবন্দী ছিলেন দুই বছরের অধিক সময়।
একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সুত্রমতে জানা যায়,
বিগত ২ জুন ২০২২ ইং বৃহস্পতিবার রাত ৯ ঘটিকার দিকে বটেশ্বরের সুমন নামের জৈনক ব্যাক্তি এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে খাদিমপাড়ার ইউনিয়নের বাইপাস-দাশপাড়া নামক স্থানে সুমন টাকা সহ পৌছালে টোকাই রাজন ও ৩টি মোটরসাইকেলে আসা তার বাহিনীর সদস্যরা সুমনকে গতিরোধ করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছিনতাইকারীর গডফাদার রাজন দেবকে পাকড়াও করে গণধোলাই দেন। সঙ্গীয় ছিনতাইকারীরা যে যার মত পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গণধোলাই থেকে শেষ রক্ষা হয়নি টোকাই রাজনের।
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাজন দেব সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।