ক্রমাগত মিথ্যের ফুলঝুরি ছড়াবার মতন একটা ক্রিয়েটিভ দক্ষতা তার ছিল। কিন্তু এখন তার কথাবার্তা শুনে হতাশ হচ্ছি। তিনি সব সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলেছেন। নতুন করে মিথ্যাচারিতা করতে পারছেন না। সেই সব পুরনো বস্তাপচা মিথ্যাগুলোই উগড়ে দিচ্ছেন। নতুন করে মিথ্যে কেচ্ছা-কাহিনী ফাঁদার এই ব্যর্থতা প্রমাণ করছে যে, তিনি ফুরিয়ে গেছেন। খুব মনোটোনাস ও ক্লিশে হয়ে পড়েছে তার কথাবার্তা।
এখন তিনি নতুন কোনো কুকথা বলতে পারছেন না। নতুন ধারার কুৎসিত গালিগালাজও উদ্ভাবন করতে পারেন না। নতুন কোনো ব্লাফ কৈ হাসিনার? বিশ্বাসযোগ্য টাটকা ধাপ্পাবাজির ক্ষমতাও কি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন? সেই একঘেঁয়ে পুরনো মিথ্যা তো আর চলেনা।
শেখ হাসিনা এখন পুরাই বিবর্ণ ও বিনোদনহীন। তার কাঁদো কাঁদো অভিনয়, ভিক্টিম কার্ড খেলা, শিগগিরই চিত্র পালটে দেয়ার দম্ভ, উস্কানি, মানবতার দোহাই, স্বজন হারানোর বেদনা এবং ‘আমার কী অপরাধ দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন’ এসব এখন কেবলই চর্বিত চর্বন। লাখো কোটি টাকা লুটের পর হাসিনার ত্যাগের গল্প নতুন করে কোনো আবেদন সৃষ্টি করতে পারছে না। হত্যা করে তার দায় অন্যের ওপর চাপাবার ব্যাপারে হাসিনার ফাঁদা ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পৃষ্ঠাও সকলের অনেকবার পড়া হয়ে গেছে। তার রুচিহীন ভক্তরা পর্যন্ত এখন পুরোই হতাশ হচ্ছে হাসিনার পুওর পারফর্ম্যান্সে। সবাই বুঝতে পাচ্ছে হাসিনা বুড়িয়ে গেছেন, ফুরিয়ে গেছেন, নিঃশেষ হয়ে গেছেন। এখন তিনি পুরাই অচল মাল। আহাম্মকের স্বর্গবাসী ছাড়া আর কেউ তার পুনরুত্থানের স্বপ্নে বিশ্বাস করবে না, করছে না।▪️