একজন ফৌজিয়া খিলজী!

ফেসবুকের কল্যানে আমাদের হাতিয়ার বৃহৎ একটা অংশ ওনাকে চিনেন।আর অফলাইনে বংশীয় পরিচয়ে বড়দের কাছে সহজেই চেনার মত একজন মানুষ।এ ভদ্র মহিলাকে কেউ হয়ত রাজনৈতিক প্লাটফর্মের কারনে চিনেন;আবার কেউ একজন মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে চিনেন।তবে আবার অনেকগুলো মানুষের কাছে তিনি কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত।ঢাকাস্থ হাতিয়া ছাত্র ফোরাম থেকে শুরু করে যতগুলো হাতিয়াভিত্তিক সংগঠন আছে,সবার কাছে তিনি অন্যতম একজন দানশীল মানুষ হিসেবে পরিচিত।আমি ছাত্র ফোরামের কল্যানে ওনাকে ২০১৩সাল থেকে চিনি।হাতিয়ার নানাবিদ সমস্যা,দাবি দাওয়া নিয়েও হাতে ব্যানার পেস্টুন নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে সচিবালয় পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় আমি ওনাকে দেখেছি।তার রাজনৈতিক একটা পরিচয়ও আছে।তিনি বিএনপির সেন্ট্রাল রাজনীতি করলেও আমি ওনাকে একজন মানবিক মানুষ ও সমাজসেবী হিসেবেই বেশি স্বীকৃতি দিই।
.
হাতিয়ার নদী ভাঙ্গন রোদ,নলচিরা ঘাটে পল্টুন স্থাপন,বিদ্যুতের দাবি,হাতিয়াকে জেলা বাস্তবায়ন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্নতিকরণসহ হাতিয়া ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য দাবি ধাওয়ার কারনে তিনি অনেকের কাছে প্রিয় একজন।আবার অনেকগুলো মানুষের কাছে খুব অপছন্দের একজন।তবে তিনি একজন বিরোধীদলের কর্মী সমর্থক হিসেবে সরকারের দলের অনেক সমালোচনা করেও ফেসবুকে লেখালেখি করেন।যেটা ওনার ভিন্নমতের লোকজনদের কাছে ওনাকে অপছন্দ করার একমাত্র কারন।
.
সম্প্রতি হাতিয়ার ক্ষমতাসীন একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের ফেসবুক পোস্টের কট্টর সমালোচনা করে ফেসবুকে কাউন্টার পোস্ট করলে,ওনার ভিন্নমতের কিছু লোকজন ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে এতটা নিকৃষ্ট ভাবে কাদা ছুটাছুটিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।যা দেখে সত্যিই খারাপ লাগে।এ মানুষগুলোর উদ্দেশ্যেই আমার এ লেখাটা……!
.
আচ্ছা ভাই,
আপনি যদি গড্ড মূর্খ হোন,তাহলে আপনাকে কিছু বলার নাই।আর যদি আপনার ন্যূনতম মানসিক জ্ঞান থাকে,তাহলে কথাগুলো আপনার জন্য।বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে।বাংলাদেশের সংবিধানের কোথাও এমন লেখা নেই-ভিন্নমতের হলে আপনি তাকে অপবাদ দিবেন,আঘাত করবেন।একজন মানুষ সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন না।সেখানে রাজনৈতিক ভিন্নমতটা খুব বেশি মারাত্মক।আপনি আওয়ামীলীগ করেন,আরেকজন বিএনপি করে-সেটার জন্য আপনি তাকে শত্রু ভাবতে পারেন না।আলোচক সমালোচক,পক্ষ বিপক্ষ,মতের মিল-অমিল সারা জনম থাকবে।তাই বলে ভিন্নমতের হলে আপনি তার পরিবার,ব্যক্তি জীবন নিয়ে তাকে মাটিতে ছুটে ফেলাটা একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং রাজনৈতিক অন্ধান্তের মাঝে বসবাস করা মানুষের কাজ।
.
ফৌজিয়া সাফদারের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে।হাতিয়ার রাজনৈতিক কয়েকটা পরিবারের নাম উল্লেখ করতে গেলে উনার পরিবারের নাম অবশ্যই আসবে।
এখন সেটার জন্য আপনি তার ব্যক্তিগত জীবন কিংবা পারিবারিক জীবনের সাথে কাদা মিক্স করে অপবাদ দিয়ে এটা প্রমান করেন যে-আপনি রাজনৈতিক মতের দালালী করে পেট চালান।
.
পৃথিবীর কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা নেতা চিরস্থায়ী ভাবে ক্ষমতায় ছিলেন না।এটা ভেবে রাজনীতি করেন না ভাই।এত হিংস্র কেন?এটাকে ভাবতে পারেন না-আজ আপনার ভিন্নমতের মানুষটাকে আপনি আঘাত করলে,দিনশেষে তার সুদিন আসলে সে আঘাত আপনিও ফিরে পাবেন।আর আপনার দ্বারা যদি আপনার ভিন্নমতের লোকটা নিরাপদ থাকে,তাহলে আপনি যতই কট্টর রাজনীতি করেন না কেন-প্রতিপক্ষের নিকট আপনিও নিরাপদ থাকবেন।
.
এ ভদ্র মহিলার দানকৃত অর্থে অনেক গরীব অসহায় মানুষের চিকিৎসা হয়,অনেক গরীব মেয়ের বিয়ে হয়,অনেক অসহায় মেধাবী ছাত্রের পড়াশুনা চলে।ওনাকে এত কাছে থেকে দেখার পরও,তিনি কখনো তার রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে বলেননি কখনো।একজন মানবিক মানুষ হতে বলার তাগিদ দেন।আর ভিন্নমতের কারনে আপনি তাকে অপবাদ দিতে,অসম্মান করতে একটুও দ্বিধা করলেন না?
.
উনি তো আপনার নেতার প্রতিদ্বন্দ্বী না।তাহলে একজন মহিলার সাধারণ আলোচনা সমালোচনাকে এতটাই আতঙ্কিত করে কেন আপনাদের?বলতে পারেন?আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ ছুটে বলতে পারবো-
আপনি কোনো বিপদে পড়লে আপনার রাজনৈতিক নেতার কাছে যদি সহায়তা না পান।তাহলে এ মানবিক ভদ্র মহিলার দুয়ারে যান।খালি হাতে ফিরবেন না।(চ্যালেঞ্জ)
.
এ লেখার কারনে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন ছুড়তে পারেন-আমি কি তার দালালী করছি কিনা?হ্যাঁ,আমি একজন ভালো মানুষের দালালী করছি,একজন মানবতার মশাল বাহকের দালালী করছি।তবে রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির দালালী করছি না।

প্রচারে হাতিয়া পৌরসভা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল

আরো পড়ুন