ওয়াচডগের রিপোর্ট /ব্রিটেনে স্টুডেন্ট লোন নামে চলছে জালিয়াতি।
আরিফ মাহফুজ- যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ফাইন্যান্স (স্টুডেন্ট লোন) এর নামে চলছে চরম জালিয়াতি , গ্র্যাচুয়েশন ডিগ্রি পড়তে একেবারেই যোগ্য নয় এমনসব লোকেরা ভর্তি হচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্বাবিদ্যালয়ের ফ্রাঞ্চাইজ কলেজগুলোতে , স্টুডেন্ট ফাইন্যান্সের অর্থনিতে অদক্ষ বা উপযুক্ত নয় এমন ছাত্ররা কিছু এজেন্টের সহযোগিতায় কলেজগুলোতে এনরোলড হতে বিভিন্ন জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছেন ,
এর মধ্যে এশিয়ান ,ইস্ট ইউরোপিয়ান ,ইউরোপিয়ান আফ্রিকান বিভিন্ন জাতির মানুষ। এনিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল অডিট অফিস, ব্রিটিশ সরকারের স্বাধীন খরচ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা,(The National Audit Office (NAO) is the UK’s independent public spending watchdog.)ওয়াচডগ।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরীক্ষা অফিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ,ইংল্যান্ডের ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডের স্টুডেন্ট লোন জালিয়াতি সংগঠিত হয়েছে বলে বলেছে পাবলিক স্প্যান্ডিং ওয়াচডগ। এ জালিয়াতি হচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজ কলেজগুলিতে যা সরকার দ্বারা অনিয়ন্ত্রিত।
ওয়াচডগের মতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলো ডিগ্রি প্রদান করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের জালিয়াতি সংগঠিত হচ্ছে যা যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি ও শিক্ষাব্যবস্থানিয়ে হাস্যরসের জন্ম দিতে পারে। এখবর দিয়েছে দ্যা গার্ডিয়ান।
ওয়াচডগ আরো বলছে , বানিজ্য ব্যবস্থাকে সামনে রেখে এসব কিছুর জন্য মূলত সরকারের অব্যবস্থাপনা দায়ী। কোর্স সম্পন্ন করার যথার্থ জ্ঞান নেই বা কোর্স শেষ করার সদিচ্ছা নেই এমন লোক এনরোল হচ্ছে স্টুডেন্ট হিসেবে যা সরকার সমর্থিত এই বানিজ্যিক শিক্ষা ব্যবস্থা সিস্টেম,স্টুডেন্টরা গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন করতে যাচ্ছে যাদের নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছে এই ওয়াচডগ । সরকার কর্তৃক তাদের ১৩ হাজার থেকে ১৮ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত গ্র্যান্ট বা স্টুডেন্ট ফাইন্যান্স প্রদান করা হচ্ছে , মূল গ্রান্টের প্রায় ৯০০০ থাকছে পাউন্ড টিউশন ফি ও অবশিষ্ট অর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজিং ফি হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হচ্ছে।
স্টুডেন্টদের কোর্সে সাইন আপ করার জন্য কলেজগুলোর সাথে অনেক বাণিজ্যিক এজেন্ট কাজ করছে যার ফলে তারা পাচ্ছে লাভজনক কমিশন
ফিন্যাসে বা গ্র্যান্ট পেতে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে যা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে । অনিয়ন্ত্রিত কলেজেরও সহযোগিতায় অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা ডকুমেন্টেশন তৈরি , আইডেন্টিফিকেশন জালিয়াতির ঘটনাও ঘটছে হরহামেশা যার পিছেন রয়েছে মোটা অংকের কমিশনের অর্থ।
হাউস অফ কমন্সের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বলেছে , তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি সরবরাহকারীদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তদন্ত করবে এবং যারা যারা এই ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংসদ মেগ হিলিয়ার (কমিটির সভাপতিত্বকারী) বলেছেন , এডুকেশন বিভাগকে ব্রিটেনের শিক্ষাব্যবস্থা দূর্নাম না কুড়ায় সেজন্য অবশ্যই এই নিয়ন্ত্রণগুলি নিয়ে স্পষ্ট ভাবে কাজ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় নেতাদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিভার্সিটি ইউকের একজন মুখপাত্র বলেছেন ” বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইতোমধ্যে সমস্ত অংশীদারিত্ব দায়বদ্ধতার সাথে সম্পন্ন করেছে, এছাড়া দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালাও রয়েছে। তবে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম যে ঘটছে না তা বলা যাবে না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন জনের হতে জানা যায় অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের কাজ বা এসাইনমেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পাদনা করে যাচ্ছেন। তাই নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে এই গুরুতর সমস্যাগুলি মোকাবেলা করা উচিত।”