খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের সবাইকে হত্যার আসামি করা হবে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সবাইকে হত্যার আসামি করে বিচার করা হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নিবার্চনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে দিনটি উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের জেলা শহরে আজ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিএনপির এ মানববন্ধন রূপ নেয় সমাবেশে। এতে অংশ নেয় দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী। বুধবার বেলা দশটায় সমাবেশে শুরুর কথা থাকলেও এদিন সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। নেতাকর্মীদের হাতে ছিল কালো পতাকা।

এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত নানা রকম ব্যানার, ফেস্টুনও দেখা গেছে।

এই কর্মসূচির কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তীব্র যানজট তৈরি হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিলো।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দরকার হলেও বিদেশে নিয়ে যেতে দিচ্ছে না সরকার। সরকার আইনের দোহাই দিচ্ছে। এই সময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে, সুনামি হয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের এই দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার বিনা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে দেশে গণতন্ত্র হত্যার প্রধান নায়ক আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যখন বুঝলো জনগণ তাদের ভোট দেবেন না, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার উদ্যোগ নিলো। এতে প্রধান নায়কের ভূমিকায় ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। তাই ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বিচারপতি খায়রুল হকের বিচারও করা হবে।

ফখরুল বলেন, আজ গণতন্ত্র হত্যা দিবস। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির এইদিনে পাতানো কৌশলে একদলীয়ভাবে নির্বাচন হয়েছিল, শুধুমাত্র একটি দলকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে। অথচ দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল সেদিন নির্বাচন বর্জন করেছিল।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে দক্ষিণের আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

You might also like