জন্মদিনের চাওয়া একটাই একজন নিরাপরাধ যেন মুক্তি পায়!

সংগ্রাম ডেস্ক: আজ আমার জন্মদিন! বছর ঘুরিয়ে এই দিনটি আসে ২৫শে জানুয়ারি। অনেক অপেক্ষা থাকি, অনেক পরিকল্পনা থাকে এই জন্মদিনে কি করব, ঘরোয়া পার্টি করব না কি বন্ধু বান্দব নিয়ে ব বড়সড় পার্টি করবো৷ কিন্তু হঠাৎ করে বুকের কনে মুচর দিয়ে উঠে যখন ই মনে পড়ে একজন নিরাপরাধ মাতৃসম মা বেগম খালেদা জিয়ার ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে ৬৫৬ দিন থেকে জেলে বন্দি হয়ে আছেন! মুহুর্তে শেষ হয়ে যায় সব আনন্দ!যে মানুষটি তার জিবনের মূল্যবান সময় টুকু এই দেশের জন্য এই দেশের মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন কিন্তু জিবনের শেষ সময়ে এসে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জেলে বন্দি!তা মেনে নিতে পারিনা, মেনে নেওয়া যায় না। আমার পারিবারিক পরিসরটি আরেকটু বড় হয়েছে তবে আনন্দ টা সেদিন ই পাবো যে দিন খালেদা জিয়া এই ষড়যন্ত্রের ঝাল ছিড়ে আমাদের মধ্যে ফিয়ে আসবেন। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়(Mother of democracy)(Mother of humanity) আপোষহীন নেত্রী, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সবচেয়ে দিন থাকা একমাত্র জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা’র জিয়ার অন্যায় কারাবন্দিত্বের ৬৫৬তম কালো দিন আজ!

গণতন্ত্রের মা নিরপরাধ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। 

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮, থেকে বর্তমান ‘অত্যাচারী-ভোটডাকাত-দুর্নীতিবাজ’ শাসকগোষ্ঠী মিথ্যামামলায় অন্যায়সাজার মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের গভীর শ্রদ্ধা ও অশেষ ভালোবাসার প্রতীক নিরাপরাধ  সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকার নাজিমুদ্দিনরোডের শতবর্ষ পুরান পরিত্যক্ত কারাগারে একাকী বন্দি করে রেখেছে। 

গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বেগম জিয়া্কে দূরে রেখে বিনাভোটে বিনাবাধায় বন্দুকের নলের মাধ্যমে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় থাকার জন্যই তাঁকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।  

এ ধরনের রায়ের পর বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক জামিন পেয়ে থাকলেও, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ওম্যান প্রধানমন্ত্রী ও অসুস্থ একজন সিনিয়র সিটিজেনকে এই  ন্যুনতম অধিকারটুকুও দেয়নি জানুয়ারি ৫, ২০১৪ এর ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতা দখলকারীরা। ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮, প্রহসনের নির্বাচনে মধ্যরাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে রাস্ট্র ক্ষমতা আবারও কুক্ষিগত করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি তাদের হিংসার মাত্রা বাড়িয়েছে।  হয়রানিমূলক একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন পাওয়ার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে প্রমাণিত হল বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয়।  

বাংলাদেশের অবিচল গণতন্ত্র-সংগ্রামী আপসহীন এই নেত্রীকে কারাবন্দি রেখে জনগণের ভূমি, সম্পদ ও অর্থ লুট করছে অবৈধ সরকার। প্রতিবাদকে তারা দমন করছে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূতহত্যা, গুম, জেল ও মামলার মাধ্যমে।   

জনগনের ইচ্ছা তাদের কাছে তুচ্ছ, তাঁদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকারকে পদদলিত করছে।  

 বেগম জিয়াই আওয়ামী-অন্ধকারযুগে চোখ ধাঁধানো আলোর ঝড়, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের গ্রেটওয়াল। 

যুবক-যুবতী, ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, মজুর, গৃহিনী, পেশাজীবী, রাজনৈতিকর্মী  — বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ একইসাথে ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম জিয়ার মুক্তি ও তাঁদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার দুই লক্ষ্যে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য (Coalition of people) তৈরি করে চলেছে দেশজুড়ে ও দেশে দেশে। স্বৈরশাসনের জগদ্দল মসনদ উপড়ে ফেলে বেগম জিয়া্কে মুক্ত করতে সংহত সংকল্পবদ্ধ এই দেশের পরিশ্রমী গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ । টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, সুন্দরবন থেকে সিলেট এক লক্ষ  ৪৭  হাজার ৫৯৮ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে কোটিকোটি মানুষের মিলিত কণ্ঠস্বর প্রতিনিয়ত ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে —

“…মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই

খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই” 

 

শেখ মো: সাদেক আহমেদ(লন্ডন)

আরো পড়ুন