তারেক রহমান গণ-অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারী…

” তারেক রহমান ২০ জুলাই নিজে আমাকে কল দিয়ে বলেছে, আন্দোলন কি শেষ হয়ে গেছে?”

-মোঃ তারেক, গণ-অধিকার পরিষদ।
আমি উত্তরে বললাম, না শেষ হয় নি।
এই যে খবর বেড়ুচ্ছে আন্দোলন স্থগিত। সরকার দাবি মেনে নিয়েছে? আমি উত্তরে বললাম, আন্দোলন স্থগিত হয়নি।
ফেস দ্য পিপলে এক সাক্ষাতে গণ-অধিকার পরিষদের মোঃ তারেক বলেন, ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে।

হাসিনাকে রক্ষা করতেই আওয়ামীলীগের নিয়োগকৃত তিন সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ, সাজিস আলম আইনমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে ৮ দফা দাবি দেয়। আনিসুল হক সাক্ষাত শেষে মিডিয়াই বলেছিল, ছাত্রদের ৮ দফা যুক্তি । আমরা সেটা মেনে নেব। ছাত্রদের ৫% যৌক্তিক দাবি মানার পক্ষে সরকার। হাসিনার মন্ত্রীদের মিথ্যা আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে সাজিস আলম বলেছিল, আমাদের আর কোন কর্মসূচী নেই। আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।

২০ তারিখের পর বিভিন্ন ভার্সিটির ছাত্রদের কল করেছি তোমরা আন্দোলনে আস। তারা কেউ আসে নি। তারা মন্ত্রীদের সাথে তিন সমন্বয়কের বৈঠকের পরে আন্দোলন থেকে সরে গেছে। এর পর আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে তারেক রহমানের পরিকল্পনায়। তার নির্দেশেই ঢাকা শহরকে ১৩ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। কোন সেক্টরে কারা নেতৃত্ব দিয়েছে সব আমাদের লিপিবদ্ধ আছে। আমাদের টার্গেট ছিল সরকারের যেকোন একটা ইউনিটকে আত্মসমপর্ণ করানো। নবম দিনের চেষ্টায় বিজিবি ঢাকায় আত্মসমপর্ণ করতে বাধ্য হয়। পরের দিন সারা দেশে ২০ টি স্থানে বিজিবি পুলিশ আত্মসমর্পণ করে.. তারেক রহমান আমাকে বলেছিল, কি পরিমাণ টাকা লাগতে পারে? আমি উত্তরে বলেছি, মনে করবেন এক সাগর টাকা পানিতে ফেলে দিয়েছি, তবুও স্বৈরাচার হাসিনার পতন হোক। কোন সমন্বয়কের ১ দফা দাবি ছিল না। জনগন তাদের এক দফা ঘোষনা দিতে বাধ্য করেছে। আজকে যে হাসনাত আবদুল্লাহ বড় বড় কথা বলছে তারা ২০ তারিখ মন্ত্রীর সাথে দেখা করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। ১৯ তারিখের পর আন্দোলন তারেক রহমানের পরিকল্পনায় পরিচালিত হয়েছে।

আরো পড়ুন