বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমরা অবিচল: আমেরিকা
‘৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি সম্পর্কে অবগত হোয়াইট হাউস’
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমরা অবিচল: অ্যাডমিরাল কিরবি
মুশফিকুল ফজল আনসারী, হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি সম্পর্কে হোয়াইট হাউস অবগত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)’র স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিরবি।
একিসঙ্গে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থানে স্থির রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যাঁ পিয়েরের সঞ্চালনায় আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা ৬ রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রসঙ্গে কিরবি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সুষ্ঠু নির্বাচন ইস্যুতে তার অবস্থানে স্থির রয়েছে তার প্রমাণ স্টেট ডিপার্টমেন্টের নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত নীতির ঘোষণা।
ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৬ কংগ্রেসম্যানের প্রেসিডেন্টকে লেখা চিঠির প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাডমিরাল কিরবি বলেন, আমরা আমাদের অবস্থানে স্থির রয়েছি। এই যোগাযাযোগের (চিঠি পাঠানো) বিষয়ে আমি অবগত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থানে স্থির রয়েছে। সেই অবস্থান স্পষ্ট করতেই সম্প্রতি স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে লেখা এক চিঠিতে ছয় কংগ্রেসম্যান মানবাধিকার লংঘনের দায়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশের জনগণ যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সেজন্য এ দ্রুত ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে তারা চিঠিতে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ সরকার তরফে প্রথমে চিঠিকে ‘ভুয়া’ বলে অবহিত করলেও পরে চিঠিটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে সমালোচনা করা হয়।