বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিবাদে লন্ডনে আলোচনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী
আমিনুল ইসলাম মুকুল, লন্ডনঃ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (এফআরআই) এর উদ্যোগে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিবাদে পূর্ব লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস পার্কে গত সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ রায়হান উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী বুরহান উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন আমারদেশ ইউকের নির্বাহী সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ওহিদ আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ মঈনুল ইসলাম, জাষ্টিজ ফর ভিকটিমস ইউকের সভাপতি জহির আহমদ ও এফআরআই এর সাংগটনিক সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন মৃধা।
সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন এফআরআই এর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনালের এর সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুকুল, আব্দুল গফ্ফার শাহিন, আহমদ আলী, সহ সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সফর, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, শেরওয়ান আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমদ, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফান্টু, আইটি বিষয়ক সম্পাদক সাবের আহমদ, সহকারি আইটি বিষয়ক সম্পাদক এম এম ইয়াজদিন, সোস্যাল মিডিয়া সম্পাদক মোঃ জবলু আলম বিপুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সহ কারি অফিস বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, নির্বাহি সম্পাদক তানিম আহমদ, ফরহাদ হোসেন, তজমুল আলী, রুমেল আলী, মোঃ জুনেদ আহমদ, রাসেল আহমদ, আব্দুর রহমান, ছমির আহমদ, আনিসুল হক, সুহাইল আহমদ, কামরুল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ মুজিবুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, রায়হান আহমদ, এস এম আবিদ রেজা, আবুল হাসান, মোঃ সাজ্জাত হোসেন, ইউসুফ আহমদ, মোঃ হারুন মিয়া, মোঃ বেলায়েত খান, আহমদ আলি, ফকরুল আহমেদ, আরাফাত হোসেন মাহিম, খন্দকার আসলাম, আমিরুল মোমিন রেজা, আশফাক আহমদ জবলু, আবুল মনসুর, মোঃ হুমায়ুন রশীদ জুনেদ, নিকুলাস মল্লিক, মোঃ আনুয়ারুল আমিন, আয়েশা আক্তার, মোঃ মাসুম আহমদ, সুয়েব আহমদ, মুনাদ আহমদ, আব্দুল্লাহ আল জাবির, মাহমুদ হোসাইন, মহসিন খান, মুজিবুর রহমান,
মোঃ সুয়েব ইসলাম, মোঃ কামরুল হাসান ভুইয়া, মোঃ লুৎফুর রহমান, মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ সাইফুল আলম, তোফায়েল আহমদ, মাজেদ আহমদ উজ্জ্বল, এস এম শামসুজ্জোহা, মোস্তফা আহমদ, আল শাহরিয়ার ইমন, সাদিক হাসান শিহাব, লামিয়া তাসনিম, মোঃ লিটন আলী মোল্লা, মোঃ আব্দুল মুমিন, সৈয়দ আল মারুফ, জুয়েল আহমদ, মাসুম আহমদ, হাবিবুর রহমান, জামাল উদ্দিন আহমদ, কবির আহমদ ,আল আমিন
প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপরে সেদিন আঘাত করা হয়েছিল।সেনাবাহিনী নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক।তাদের মনোবলকে দুর্বল করে দেওয়াই ছিল সেদিনকার সেই বিদ্রোহ ও হত্যাকান্ডের মুল কারণ।অবৈধ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ীত করার পাশাপাশি জাতিকে মেধাহীন করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।নৃশংস গণহত্যার প্রতি ফোটা রক্তের চরম মুল্য শেখ হাসিনাকে দিতে হবে।৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যার সাথে সৈরাচারী সরকার সরাসরি জড়িত ছিল এতে কারো সন্দেহ নেই।এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন পিলখানা হত্যাকান্ডের সুস্ঠ বিচার হবেনা।ভারতীয় আধিপত্যবাদের অবসান হবে না। হাসিনার আমলে সীমান্তে বিজিবি হত্যার বিচার হয়নি।ফেলানী হত্যার সঠিক বিচার করা হয়নি।এসব হত্যার বিচার করলে ভারতের সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হবে। সুতরাং চলমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র করার মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটানো গেলে বাংলার মাটিতে একদিন সকল গণহত্যার বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।