যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে লন্ডনে মহান বিজয় দিবস পালিত।

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে

লন্ডনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের একটি স্থানীয় হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তবে এম এ মালিক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ফলে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছি। দেশে যত বার সংকটে পড়েছে তখনই জিয়া পরিবার দেশের নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৭৫ সালে সিভিল ও মিলিটারি উভয় সেক্টরে যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল তখনো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শহীদ জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন ও ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ ও জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল চলছে । দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে বর্তমান সংকট থেকে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে নতুন বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান । তার নেতৃত্বে জনগণ বিজয় ছিনিয়ে আনবেই। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো প্রবাসীদের এই গণআন্দোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীরের বেশে অচিরেই বাংলাদেশে যাবেন। 

কয়ছর এম আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দেশে যতবার সংকট এসেছে ততবার জিয়া পরিবার এগিয়ে এসেছে। ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে দখলদার মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে । ১৯৭৫ সালে কিছু কুচক্রী মহল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে চক্রান্তে মেতে উঠে। বন্দি করা হয় তাকে, কিন্তু কোন চক্রান্তই সফল হয়নি। সিপাহী ও জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা মুক্ত হোন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেশের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন ১৯৯০ সালে দেশের সংকটকালে স্বৈরাচার এরশাদের পতনে ঘটাতে এগিয়ে আসেন বিএনপির চেয়ারপারসন, মা বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও লুটেরাদের কবল থেকে উদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বীরদর্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান। বাংলাদেশে কোন ডামি নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না ।

জাতীয় নির্বাহী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকার হত্যা, জেল জুলুম চালাচ্ছে। বিএনপির লক্ষ লক্ষ্য নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে এবং বাড়িছাড়া করছে। কিন্তু তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন সফল করতে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা মামলা জেল জুলুমকে ভয়কে জয় করে চলছে। তিনি চলমান গণ-আন্দোলন সফল করতে সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের গণতন্ত্রকামী আন্দোলকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

বক্তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন এবং মিথ্যা মামলা থেকে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

 

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, তাজুল ইসলাম, আবেদ রাজা, এম এ মুকিত, উপদেষ্টা সাজ্জাদ মিয়া, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমেদ, মিসবাউজ্জামান সোহেল, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আহমদ, আব্দুস সামাদ, বাবুল আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট খলিলুর রহমান, সেলিম আহমেদ (সহ দপ্তর সম্পাদক), কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ( যুগ্ম সম্পাদক পদ মর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক( সহসভাপতি পদ মর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া লাকুরিয়া, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাদল, কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, কেন্দ্রীয় সাসাসের ইউরোপ সমন্বয়ক ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক লিটন আফিন্দী, কেন্দ্রীয় যুবদল সদস্য বাবর চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা আলম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এম এ শহিদ, বার্মিংহাম সিটি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবজার হোসেন, লন্ডন মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, সহ প্রচার সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন চৌধুরী, লন্ডন মহানগর বিএনপি নেতা রোমান আহমেদ চৌধুরী, তুহিন মোল্লা, সোহেল শরিফ করিম, সোহেল আহমেদ, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সৈয়দ আতাউর রহমান, শফিকুল ইসলাম তুহিন, মোঃ নুরুল ইসলাম, তোতা মাস্টার, আমির হোসেন, মুজিবুর রহমান মুজিব, মো: তারেক উদ্দিন, শেরওয়ান আলী, আলী আহমদ, মোঃ ফজল আহমদ, সাহেদ আহমদ, হালিমুল ইসলাম হালিম, মোঃ কামরুল হাসান ভূঁইয়া . মিনহাজ আহমদ, ফখরুল মিয়্‌ জুনের আহমদ, মোঃ কবির আহমদ, রোহান তারিক, রোকন মিয়া, আব্দুল করির, রিজভী উদ্দিন আহমদ, তানভির আহম, আশরাফ উদ্দিন, তানভীর হোসেন সিদ্দিক, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হক রাজ, সহসভাপতি বাকি বিল্লাহ জালাল, আক্তার হোসেন শাহিন, শাজাহান আলম, সানুর মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক নুরল আলী রিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শিমু, আব্দুস সামাদ রাজ, নুরুল আফসার লিমন, নন্দন কুমার দে , মোজাহিদ আলী প্রমুখ।

আরো পড়ুন