‘লাশের বদলে লাশ চাই’ বিএনপি এমন প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা : তারেক রহমান ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘লাশের বদলে লাশ চাই’ বিএনপি এমন প্রতিশোধ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। সুতরাং আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কিংবা জন প্রশাসনের যারা গুম খুন অপহরণের সঙ্গে জড়িত নন তাদের আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর গঠিত জাতীয় সরকারের শাসনামলে কারো প্রতি কোনো অবিচার করা হবেনা।
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে দর্শক সারিতে বসে বক্তব্য শুনেন তারেক রহমানের সহধর্মীনি ডাঃ জোবায়দা রহমান।
সোমবার (৩০ মে) পূর্ব লন্ডনের রয়েল রিজেন্সি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই আলোচনা সভা যৌথভাবে পরিচালনা করেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান ও খসরুজ্জামান খসরু।
সভায় তারেক রহমান, ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হুমকি দিয়ে শেখ হাসিনার দেয়া একটি বক্তব্য উল্লেখ করেন। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হুমকি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ”সেনা ছাউনিতে বসে, বন্দুকের নল চেপে, পুলিশ, বিডিআর, সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে, জনগণের ভোট কেড়ে নেবে,
আমরা তা মেনে নেবোনা। আমরা তা হতে দেবোনা। পুলিশ বিডিআর সেনাবাহিনীকে বলতে চাই, আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না।
জনগণের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলে ধরবেন না। তাহলে জনগণ আপনাদের রেহাই দেবেনা। পুলিশ, বিডিআর, সেনাবাহিনীর আত্মীয় স্বজনরা বাংলার গ্রামে গঞ্জে বাস করে। এদের আত্মীয় স্বজনদের ঠিকানা খুঁজে বের করুন। সতর্ক করে দিন। হুশিয়ার করে দিন। আর যদি এ দেশের মানুষের উপর গুলি চালানো হয়, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়, আমাদের আহবান, প্রতিশোধ নেবেন। ‘লাশের পরিবর্তে লাশ’ চাই’। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার এই বক্তব্য তার লেখা ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’ বইয়ের ৫৩ নাম্বার পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ৮৬ সালে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘জাতীয় বেঈমান’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া শেখ হাসিনা যেই সময়টিতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হুমকি দিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন, বর্তমানে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখা শেখ হাসিনার সময় দেশের অবস্থা এরশাদের সময়ের চেয়েও শতগুন খারাপ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলে বর্তমানে গুম-খুন-অপহরণকে সাধারণ বিষয়ে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। বিএনপি এবং ভিন্ন দল ও মতের শত শত মানুষকে গুম খুন অপহরণ করা হয়েছে। সারাদেশে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তারপরও আওয়ামী জঙ্গি লীগের প্রধান শেখ হাসিনার মতো বিএনপি কখনোই
দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের পরিবার পরিজনদের লক্ষ্য করে ‘লাশের বদলে লাশ চাই’, এ ধরণের বক্তব্য দেয়নি।
‘কারণ আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি বিশ্বাস করে মাফিয়া সরকারের অপকর্মের প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং জন প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমর্থন নেই’ বলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান আরো বলেন, বিনাভোটে ক্ষমতা দখল করে রাখতে, রং হেডেড শেখ হাসিনা গত একদশকে সরকার ও প্রশাসনে
একটি সুবিধাবাদী-দুনীতিবাজ- খুনি চক্র গড়ে তুলেছে। প্রশাসনে থাকা মাফিয়াদের দোসর এই দুর্নীতিবাজ-খুনি-সুবিধাবাদী চক্রটি মনে করে,
মাফিয়া সরকারের পতন হলে জনগণের রোষানল থেকে তারা রেহাই পাবেনা। অপরদিকে মাফিয়া সরকার মনে করে প্রশাসনে গড়ে ওঠা খুনি-দুর্নীতিবাজ চক্রটিকে রক্ষা করা না গেলে মাফিয়া সরকারের পক্ষে বিনাভোটে আর ক্ষমতা দখল করে রাখা সম্ভব হবেনা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাফিয়া সরকার এবং প্রশাসনের
চিহ্নিত খুনি দুর্নীতিবাজ চক্রটি জনগণকে বিভ্রান্ত করতে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো শুরু করেছে। অপপ্রচারটি হলো,
নিশিরাতের সরকারের পতনের পর নতুন গণতান্ত্রিক সরকার র্যাব-পুলিশ এবং জন প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নেবে।
এমন অপপ্রচার চালিয়ে তারা প্রশাসনে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও জনপ্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, চিহ্নিত খুনি-দুর্নীতিবাজ-সুবিধাবাদীদের
অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখতে র্যাব-পুলিশ কিংবা প্রশাসনের যেসব অতিউৎসাহী কর্মকর্তা.. এতদিন গণতন্ত্রকামী মানুষকে খুন গুম অপহরণ করেছে, সেইসব খুন গুম অপহরণকারীরা ইতোমধ্যেই দেশে বিদেশে চিহ্নিত। দেশে বিদেশে কোথাও এদের ঠাঁই হবেনা। ভবিষ্যতে অবশ্যই তাদেরকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং জন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সদস্যদের আশ্বস্ত করে তারেক রহমান বলেন, যারা মাফিয়া সরকারের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নন আগামী দিনের ফ্যাসিবাদী বিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকার ও প্রশাসনে কারো ভয় কিংবা আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। কারো বিরুদ্ধে কোনো প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হবেনা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখন চলছে চরম অস্থিরতা। চলছে অবাধ দুর্নীতি, মিথ্যাচার, টাকাপাচার। পদ্মা সেতু সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নেএ লক্ষ্যে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকা ২০০৩ সাল থেকে সমীক্ষা চালানো শুরু করেছিল। জাইকা’র সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০০৫ সালে খালেদা জিয়ার সরকার পদ্মা সেতুর প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করে গ্রহণ করা হয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প।
তারেক রহমান বলেন, ২০০৫ সালে নেয়া পদ্মা সেতু প্রকল্পের খরচ ৪/৫ গুন বেড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে
কিভাবে ৪০/৫০ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকলো সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।
তিনি বলেন, যে মাফিয়া সরকার হসপিটালের সুঁই-সুতা-কাঁথা-বালিশ কিনতেও দুর্নীতি আশ্রয় নেয়, সেই মাফিয়া চক্র পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে কত হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে, জনগণকে সেই হিসাব দিতে হবে। জনগণ তাদের প্রতিটি টাকার হিসাব চায়।
তারেক রহমান বলেন, মাফিয়া চক্র নানা প্রকল্পের আড়ালে গত একদশকে দেশ থেকে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি টাকা পাচার করে দিয়েছে। বিনাভোটে ক্ষমতায় থেকে মাফিয়া চক্র যে পরিমান টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে, জনগণ বিশ্বাস করে সেই টাকা দিয়ে
আরো কয়েকটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত।
রাজধানীর নীলক্ষেতে ব্যাবসায়ীদের উপর ছাত্রলীগের হেলমেটবাহিনীর হামলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই হেলমেট লীগ হামলা চালালেও বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র দলের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারেক রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতি শিক্ষার্থীর অভিভাবক। অথচ ক্ষমতার মোহে অন্ধ
ভিসি হয়তো বুঝতেই পারছেননা ‘ভিসি’ এবং ‘ওসি’ এই দু’টি পদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ভিসি’র প্রতি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, অন্যথায় দেশের ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর জবাব চাইবে।
তারেক রহমান বলেন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন কিংবা দুদক দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চরিত্র নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান বলেন, বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসে জিয়াউর রহমান একটি অনিবার্য নাম। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই একটি স্বাবলম্বী এবং আত্মমর্যাদাশীল জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু যারা বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো, বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো সেই অপশক্তির ষড়যন্ত্রেই ১৯৮১ সালের ৩০ মে স্বাধীনতার ঘোষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মাতৃভূমি বাংলাদেশ সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হলেও বর্তমান সময়ের মতো স্বাধীনতা পরবর্তী কয়েকটি বছরও জনগণ স্বাধীনতার সুফল উপভোগ করতে পারেনি।
জনগণের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে বর্তমানে যেভাবে গণতন্ত্রকামী মানুষের পেছনে র্যাব-পুলিশকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে, একইভাবে সেই সময়ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের পেছনে বর্বর রক্ষীবাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল। হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল রক্ষীবাহিনী।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর থেকেই মূলত দেশের জনগণ, স্বাধীনতার ঘোষকের নেতৃত্বে স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত সেই অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে এখন আবারো জনগণের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, শহীদ জিয়া-খালেদা জিয়া-বিএনপি গণতন্ত্র-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার-মুক্ত গণমাধ্যম,
৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তির কাছে এই বিষয়গুলো ভয় ও আতঙ্কের। কারণ, যদি জনগণ শক্তিমান থাকে, যদি মানুষের অধিকার বহাল থাকে, যদি গণতন্ত্র কার্যকর থাকে, যদি মানুষের ভোটাধিকার থাকে, যদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে, যদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর থাকে, তাহলে জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায়।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়া সমার্থক। একইভাবে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার-আত্মমর্যাদা ও খালেদা জিয়া সমার্থক।
তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের ফলই ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। ২১ আগস্ট ছিল কথিত ওয়ান ইলেভেনের প্রাক মহড়া। ওয়ান ইলেভেন এবং ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা।
৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তির কবল থেকে দেশ উদ্ধারে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী শুভার্থী-সমর্থক-শুভাকাঙ্খীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ঐক্য আরো সুদৃঢ় করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, মাফিয়া সরকার হটাতে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে সবাইকে ঐকবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসতে হবে। এই আন্দোলনের স্লোগান, ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে’।