জৈন্তাপুরে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের কবলে পড়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নাজেহাল হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হন আরিফুল হক চৌধুরী।সিলেট নতুন রেস্তোরাঁ
রোববার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ৫নং ফতেহপুরে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড’র আওতাধীন ৭নং গ্যাসকূপ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং আরিফুল হক চৌধুরী রক্ষা পান।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের নিয়ে শ্রমিক দলের নতুন কমিটি গঠনের গুঞ্জণ চলছিল। এমতাবস্থায় বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী রোববার সন্ধ্যায় হরিপুরস্থ সিলেট গ্যাস ফিল্ড কার্যালয়ে যান। সেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এলাকায় চিহ্নিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ৭ নং গ্যাসকূপ পরিদর্শনে যান। এ খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা রাস্তা অবরোধ করে আরিফুল হক চৌধুরীকে ডেকে এনে কৈফিয়ত চান। কিন্তু তার কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে তারা আরও ক্ষুব্ধ হন এবং তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। এ এসময় উত্তেজিত নেতাকর্মীদের কাছে নাজেহাল হন আরিফুল হক। কত টাকা পেয়েছেন -এমন প্রশ্নও করা হয়।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আরিফুল হককে নিরাপদে এলাকা ছাড়তে সহায়তা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ফতেহপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, শুনেছি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট গ্যাস ফিল্ড ও ৭ নং কূপ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় কী সমস্যা হয়েছে তা জানি না।তাঁর জৈন্তাপুর আগমনের বিষয়টিও জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গ্যাস ফিল্ডের ৭নং কূপ পরিদর্শনে আসছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরো দু’জন লোক ছিলেন। তবে শ্রমিক দলের কমিটি গঠন বিষয়ে কোনো কথাবার্তা হয়নি। শুনেছি তিনি যাওয়ার পথে ঝামেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হরিপুরে দলের দুইটি গ্রুপ রয়েছে এটা জানতাম না। জানার পর বিষয়টি সমাধান হয়েছে। তবে, নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।