প্রশাসনে থেকে ষড়যন্ত্রে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে এখন রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা সমাজ ও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনো রয়ে গেছে। সেখান থেকে তারা তাদের ষড়যন্ত্রের বীজ বপনের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের এই রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে তরিকুল ইসলামের মতো রাজনীতিকের অভাববোধ করছি। তাঁর মতো রাজনীতিক বেঁচে থাকলে আমরা আরও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেতে পারতাম। যা দেশ ও দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারত।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকালে যশোর টাউন হল মাঠে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। যশোর জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে আসা বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ভিড়ে স্মরণসভা বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। স্মরণসভা শুরুর নির্ধারিত সময় বেলা ৩টার আগেই টাউন হল মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে মানুষের ঢল জনসভাস্থল পেরিয়ে আশপাশের রাস্তাঘাটগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কু ু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইউব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ। এ সময় সেখানে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলাম ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান সবার প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রশ্ন করেন, সংবিধানের মধ্যে কতগুলো লাইনের পরিবর্তনই কি সংস্কার? তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সংস্কার বলতে আমরা সেই সংস্কারই বুঝি, যেটি করলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, যে সংস্কার করলে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে, যে সংস্কার করলে নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যে সংস্কার করলে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, যে সংস্কার করলে দেশের সন্তানরা সুশিক্ষা পাবে ও দেশের মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা পাবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে ও দেশের মানুষের ভাগ্যের ভালো পরিবর্তনের জন্য সংস্কারের কথা যদি কেউ বলে থাকে, তা বিএনপিই আগে বলেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০৩০ ভিশন নামে সংস্কারের কথা বলেছেন। ২০২৩ সালে দলের পক্ষ থেকে এবং এর কয়েক দিন পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে থাকা সব দলকে একত্র করে সংস্কারের জন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি।’