আজ দেশনায়কের কারামুক্তি দিবস
আজ দেশনায়ক তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস। আজকের দিনে তিনি এক-এগারোর কুশিলব মঈন-ফখরুদ্দিনের কারাগার হতে মুক্তি পেয়েছিলেন। এক-এগারো এসেছিল দেশকে বিরাষ্ট্রিয়করন করার জন্য, এর হাত ধরেই এসেছে আওয়ামী ফ্যাসিজম, যার মাশুল দেশ এবং জাতি এখনো দিয়ে যাচ্ছে।
দেশনায়ক তারেক রহমান ছিলেন স্বৈরাচারী দেশবিদেশের সামরিক-বেসামরিক কুশিলবদের সম্মিলিত একএগারো সরকারের অন্যতম টার্গেট। কারণ, তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে একটা সুসংগঠিত কাঠামোর উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি তাঁর পিতা শহীদ জিয়া এবং মাতা খালেদা জিয়ার মতো দেশকে ভালোবেসেছিলেন। দেশ এবং দেশের উন্নয়নই হয়ে উঠেছিল তাঁর সাধনার বিষয়বস্তু। সেই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যেই তিনি তাঁর কর্মপন্থা পরিচালনা করছিলেন। তারেক রহমানই হয়ে উঠেছিলেন জাতীয়তাবাদী দলের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী। যা হয়েছিল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট দলের অন্যতম ঈর্ষার অন্যতম কারণ। তাই তো তাদের এবং তাদের বিদেশী প্রভু ভারতের প্ররোচনায় একএগারোর সরকার বিএনপি এবং এর নেতৃত্বকে ধ্বংস করার মিশন নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিল। তারাই মিথ্যাচার এবং নানা প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিএনপি, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের চরিত্রে কলঙ্ক লেপন করতে চেয়েছিল। সেই মিথ্যা কলঙ্কের ভার বহন করে দেশনায়ককে নির্যাতিত হতে হয়েছিল একএগারোর কুশিলবদের হাতে। ঐ সব প্রোপাগান্ডা গোয়েবলসীয় প্রচারণাকেও হার মানিয়েছিল। কিন্তু ওই গুলো যে কেবল মিথ্যা প্রচারণাই ছিল তা ভালোভাবেই প্রমাণ হয়েছে। কারণ, প্রচারণার কোনোকিছুই একএগারোর এবং তাদের দোসর বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার গত এক দশকেও প্রমাণ করতে পারেনি। তবুও অদ্যাবধি কেবল মিথ্যা প্রচারণার ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে।
সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। সত্যের কাছে মিথ্যা পরাজিত হবেই। ইনশাআল্লাহ খুব সহসা দেশনায়ক তারেক রহমান আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের রক্তচক্ষুকে পরাজিত করেই দেশে ফিরে আসবেন। তিনিই হবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং এদেশের ভবিষ্যত নেতা এবং কান্ডারী। বিএনপি এবং দেশের জনগণ সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছে। মহান আল্লাহ দেশনায়ক তারেক রহমানকে সুস্বাস্থ্য দিন, বিএনপি এবং এদেশকে যথাযথ নেতৃত্ব দিতে সর্বতোভাবে সাহায্য করুন। আমিন।
Written by – Shakila Farzana
Writer & Politician
Comment & Share