ইয়াছিন আলী ও একজন মানবতার ফেরিওয়ালা।

 

মানুষ মানুষের জন্য!
সুপ্রিয় বন্ধু, আমার বন্ধু Yeasin Ali কখনো প্রচারে আগ্রহী ছিলো না। এখনো নয়। নিজেকে কেন আলাড়ে রাখবি? জবাবে বললো, লজ্জা লাগে।
R tv তে রাতে অনুস্টিত “রাউন্ড টেবিল” টক শো যেটা সৈয়দ আশিকুর রহমান সাহেবের সঞ্চালনায় প্রোগ্রাম টা হয়ে থাকে। বছর দুয়েক পূর্বে, ছাত্র রাজনীতি বিষয়ক এক টপিক্স নিয়ে আলোচনা অনুস্টিত হবে। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে বিএনপির ৩ জন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমমনা দল মিলে আসবেন ৫ জন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে ২ জন আসবেন। যাই হোক প্রোগ্রামের প্রডিউসার অন এয়ারে যাওয়ার পূর্বে আমাকে আগের দিন জানায়, টক শো কনফার্মেশন, নিউজ আসার পর পরেই আমি ইয়াসিনের নাম্বারে ফোন দেই এবং তাতে তার ফোন অফ পাই। লাঞ্চের পর ফোন দিলে তখনও অফ পেয়ে এবার কপালে চামড়া কুচকানো শুরু হয়। এরপর সাড়ে ৩ টার দিকে মোবাইলে একটা টেক্সট পাঠাই। মেসেজ পাঠানোর পর প্রায় ৩০ মিনিট পর, ইয়াসিন কল করলে, তাহাকে খুব সুন্দর সুন্দর বলি (যাহা বন্ধুদের কাছে বলা সম্ভব নয় অর্থাৎ পঠন যোগ্য নয়??)। এরপর সে জানায় ফোনে চার্জ ছিলো না।
এরপর তাহাকে টক শোর টাইম এবং এজেন্ডা জানাই। আমার কথা বলার পর পরেই, তাহার অভিব্যাক্তি দেখছি৷ যেন তাহার মাথার উপর ১ মন ওজনের বস্তা উঠানো হইছে। তারপর সে আমার হাত ধরে বলে৷ প্লিজ প্লিজ আমাকে পাঠাইস না। ওর জবাবে বললাম, এখন সম্ভব নয়। কেননা ইতিমধ্যে আমন্ত্রিত অতিথির কাছে যোগাযোগ করা সম্পুর্ন করে ফেলেছে। এখন শুধু অন এয়ারে যাওয়ার অপেক্ষায়… না সে কিছুতেই যাবে না। যখন আমি আবার চেপে ধরেছি, তখন জানায় দোস্ত আমাকে আরও চাইপা ধইরা রাখলেও, কাজ হবে না। আমি পালাবোই।

বন্ধুরা৷ এই হলো বন্ধু ইয়াসিনের কার্য্যক্রম! ওর সবছেয়ে অত্যন্ত স্পর্শ কাতর জায়গা হচ্ছে, মানুষের কান্না।

আর বর্তমানে সে কোবিড-১৯ এর জন্য যে সকল মানুষ গুলো দিন আনা দিন খায়, সেই পরিবার গুলোর কি অবস্থায় আছে, তাদের কি অবস্থা হবে, তাহা নিয়ে সে কোনকিছুতেই মনঃসংযোগ দিতে পারছে না। বন্ধুরা, ইয়াসিনের এহেন প্যাটার্ন, যাহারা তাকে চিনেন, তাহারাই জানেন। দূর্যোগের ক্ষেত্রে কোন দলাদলি নয়, আমরা যাহারা আছি, সকলে মিলে মোকাবিলা করার আহবান জানায়।

ইতিমধ্যে ইয়াসিনের সকল নেতাকর্মী এবং তাহার পরিবারকে সাথে নিয়ে ইতিমধ্যে মাঠে নেমে গেছে। ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে, এক অন্যরকম অনুভূতি মনে হবে। বর্তমান রাজনীতি তে যেগুলো অনুপস্থিত, সেগুলো নিয়েই ইয়াসিন তার একটিভিটিতে নিয়োজিত হয়ে পড়ে।

সত্যিই ইয়াসিন এক অন্যরকম এক ব্যাক্তি, যাকে কোনদিন কোন তর্ক বিতর্ক রাগ মেজাজি আচরণ চোখে পড়েনি। চোখে পড়েছে তাহার নিস্টা,একাগ্রতা,বিনয়ী,সদা হাস্যজ্জল নিষ্পাপ মুখ। সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে আমার একটা বার্তা থাকবে, সেটা হলো ইয়াসিন রা পৃথিবীতে বারবার আসে না। যতক্ষন থাকবে ততক্ষণে আশে পাশে আলোর বিকিরনে এক অন্যরকম আবহ তৈরী করে দিয়ে যাবে।

লেখাটি – Habib Sattar এর facebook ওয়াল থেকে নেওয়া।

আরো পড়ুন