একজন মন্ত্রী যদি ফোন দেয়, আমি কী বলতে পারি: ইমন

নতুন এক বিষয়ে টক অভ দ্যা টাউন হয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ফাঁস হওয়া সেই কথোপকথনে রীতিমতো অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে দেখা করার জন্য বাধ্য করার চেষ্টা চালান ডা. মুরাদ হাসান। সেই কল রেকর্ডে সেখানে কথা বলতে শোনা যায় চিত্রনায়ক ইমনকেও।

দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়া বিষয়টি নিয়ে অবশেষেভমুখ খুললেন ইমন। জানালেন, অডিও ক্লিপটি সঠিক। অপর প্রান্তে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানই কথা বলেছেন। তবে ঘটনাটা দুই বছর আগের। একটি ছবির মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে এই ফোনালাপ।.

ইমন বলেন, ‘কল রেকর্ডে তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, আমি হয়তবা শুটিংয়ে ছিলাম, ব্যস্ততার জন্য তার (প্রতিমন্ত্রী মুরাদ) ফোন ধরতে পারিনি। এ কারণে তিনি সে রাতে ফোন দিয়ে রাগারাগি করেন। ওই সময়ে আমি আর মাহি ‘ব্লাড’ সিনেমা নিয়ে একটা মিটিং করছিলাম পরিচালক সুমন ভাইয়ের সঙ্গে। তখন তিনি (প্রতিমন্ত্রী) আমাদেরকে যেতে বলেন। এখন পরিস্থিতি সামাল তো দিতে হবে। আমরা তো একটি মিটিংয়ে ছিলাম। এজন্য বারবার বলছিলাম, ‘ভাইয়া দুই মিনিট, নামতেছি’।”

ইমন আরও বলেন, ‘উনার মতো একজন মন্ত্রীর সঙ্গে তো আমি ভদ্রভাবে ছাড়া খারাপভাবে কথা বলতে পারি না। আমার এখানে কী দোষ? একজন মন্ত্রী যদি ফোন দেয়, আমি কী বলতে পারি? এতো বড় একজন মানুষ, আমি থতমত খেয়ে গেছি।’

ইমন মন্ত্রীকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কি কোনও নায়িকাকে নিয়ে এভাবে যাবো? আপনার কী মনে হয়? এমন কোনও অভিযোগ কেউ আমার বিরুদ্ধে বলতে পারবেন? আমি যে তাকে (মাহি) নিয়ে গেছি, এমন কোনও কথা সেখানে নেই। আমি কিন্তু যাইনি। আমি শুধু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

পরদিন মন্ত্রী মুরাদ হাসান আবারও যোগাযোগ করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে ইমন বলেন, “সত্যি বলতে, উনি এত উপরের জায়গায় যে আমি কি উনার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে যেতে পারবো? আর পরদিন ছিল আমাদের মহরত। আমরা ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এরপর উনি আর বিষয়টি নিয়ে তেমন কথা বলেননি। তবে আরও একটা বিষয়, আমাদের মহরত হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে। এরপরই তো করোনা শনাক্ত হলো (৮ মার্চ)। ঢাকা শহর লকডাউনে গেলো। আমরা কিন্তু যে যার মতো ঘরে ঢুকে গেলাম।’

আরো পড়ুন