একজন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল !

একজন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অধিকতর বুদ্ধিমান এবং সাহসী তার চমৎকার উদ্ভাবনী শক্তি এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা। তিনি দুঃখ পান না। ভেঙে পড়েন না এবং হতাশার সাগরে হাবুডুবু খান না। মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের অসাধারণ এক প্রকৃতি প্রদত্ত শক্তি। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভাইয়ের কথা, কণ্ঠস্বর, বাচনভঙ্গি, মুখচ্ছবি এবং শারীরিক গঠনে এমন এক মহাজাগতিক সৌন্দর্য সন্নিবেশিত যে, মানুষ মুগ্ধ হয়ে তার পানে ধেয়ে যেতে থাকে। তার মানবিক গুণাবলি সমকালীন অন্যান্য মানুষ থেকে শ্রেষ্ঠতর। তিনি অতি উত্তম দাতা। তিনি পরোপকারী এবং সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তিনি সবাইকে ভালোবাসেন।তার প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে কিন্তু তিনি কাউকে শত্রু মনে করেন না। তিনি দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করে থাকেন। তিনি সর্বদাই নিজেকে উত্তম বিচারক ভাবেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিনি অপরাধীকে শাস্তি দেন বটে, কিন্তু কাউকে অত্যাচার করেন না। তিনি মানুষকে ভালোবাসার জন্য এবং ক্ষমা করার জন্য সর্বদা উছিলা তালাশ করে থাকেন।
তিনি অহঙ্কার করেন না- তিনি মিথ্যাও বলেন না। অতিকথন, অতিভোজন এবং মাত্রাতিরিক্ত নিদ্রা পছন্দ করেন না বৈশি ভোগবিলাস, আলস্য, সাজসজ্জার বাড়াবাড়ি, অপব্যয় এবং বেহিসেবি চালচলন তিনি সবসময় পরিহার করে চলেন। সত্য, সুন্দর এবং সাধারণত্ব দিয়ে তিনি নিজের জন্য স্বতন্ত্র একটি স্টাইল পয়দা করে থাকেন, যা যুগ-যুগান্তরে বয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আছি তার আদর্শের ধারক-বাহক এবং পরিচয়ের সত্তা হিসেবে। তিনি হলেন আমার নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভাই ——তার কথা একদিনে লিখে শেষ করা যাবে না তাই বলছি, দিব্যজ্ঞান, ভিন্নমাত্রার চিন্তাশক্তি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার অসাধারণ বুৎপত্তি তাকে সবার মধ্যে সর্বোচ্চ আসনে বসিয়ে রাখার মতো নেতা তিনি সহনশীলতা, সততা, ধৈর্যশীলতা এবং কৃতজ্ঞতা তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি শান্ত অথচ দুরন্ত। তিনি স্থির থাকেন, তবে ছুটে চলার সময় তার দুর্বার গতি সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। পরিশ্রম করার ক্ষেত্রে তিনি অনন্য এবং যুদ্ধের ময়দানে তিনি মহাবীর। তিনি পাথরের বুকে কোনো কিছু খোদাই করার পরিবর্তে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয়ার জন্য আমৃত্যু কাজ করে যাবেন-আমি তার দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।

লেখক- রাজীব কুমার ঘোষ ফ্রান্স প্যারিস থেকে 

আরো পড়ুন