কিছু মানুষের কারণে আজ অস্বস্তিতে প্রবাসীরা-কাদের
- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিছু সংখ্যক জনশক্তির অবহেলা এবং তথ্য গোপনের ফলে দুই-তিনটি দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। আজ রোববার নিজ সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু সংখ্যক জনশক্তির অবহেলা এবং তথ্য গোপনের ফলে ইতালিসহ দুই-তিনটি দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা অস্বস্তিতে আছেন। এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি আর যেন না ঘটে। সে জন্য বিদেশ গমনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণের আগে সরকার নির্ধারিত ১৬টি হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠান থেকে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। তাই নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করানোর জন্য বিদেশগামী ভাই-বোনদের অনুরোধ করছি, যোগ করেন তিনি।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ইতালি বিএনপির সাবেক সভাপতির দেশবিরোধী অসত্য বক্তব্যে প্রবাসীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে একটি গণমাধ্যমে দেখলাম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বিএনপি নেতা ইতালির গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশে নাকি ১০ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত, তাদের কোনো চিকিৎসা নেই। এ ছাড়া ১০ হাজার মানুষ ইতালির পথে আছেন। তাদের সবার কাছেই নাকি করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট আছে।
তিনি বলেন, এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে ছোট করা হয়েছে। লাখ লাখ প্রবাসীকে অস্থিরতায় ফেলে দেয়া এমন অসত্য তথ্য দিয়ে ইতালির গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় সেখানকার প্রবাসীরাও ক্ষুব্ধ। তার বক্তব্যের ভিডিও ইতালির লেগা নর্দ দলের নেতা মাতেও সালভিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা দেশে ও বিদেশে যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, তা আবারও প্রমাণ হলো। করোনার এই সঙ্কটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে দলটির নেতারা দেশবিরোধী অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে।
মিথ্যাচারের ঢোল বাজিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করাই তাদের রাজনীতি। সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি আজ দেশের বিরোধিতায় নেমেছে। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এসব কারণেই দলটি দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।