পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র যখন এক ভয়ানক সিন্ডিকেটের খপ্পরে
• চেক জালিয়াতির মামলায় ১০ বছর আগে ২০১০ সালে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল। পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, কিন্তু সে ১০ বছর কোনরকম সমস্যা ছাড়া দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষের সাথে ওঠাবসা করেছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজে পায়নি পুলিশ! আদালতও ছিল নির্বিকার!
• ২০১১ সালে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এ সাধারণ পারস্যের ৫০০ কোটি টাকা মেরে দিয়ে জেলে গিয়ে কয়েক মাস পর বেরিয়ে এসেছে। তার আর কিছু হয়নি। শত শত কোটি টাকা মেরে দিয়ে কয়েক মাসের জেল খেটে মুক্তি পাওয়া গেলে, কে করবে না সেটা?
• ২০১৬ সালে একবার চেক প্রত্যাখ্যান মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল সাহেদ। কিন্তু নানা পর্যায় থেকে তদবিরের কারণে এক সপ্তাহর মধ্যে বেরিয়ে আসেন তিনি। সেই প্রভাবশালী কারা পত্রিকায় তাদের কথাও এসেছে।
• সাহেদকে ভয়ঙ্কর প্রতারক উল্লেখ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালে তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর অধীনে চাকুরী করা পুলিশ মহাপরিদর্শক এর চিঠি আমলে নেন না, চমৎকার না?
• রিজেন্ট হাসপাতালে যখন অভিযান চালানো হচ্ছে তখন সেই খবর পেয়ে শাহেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সরাসরি ফোন করেছিল এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজেই মিডিয়াকে জানান। তিনি তাকে কোন সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে বলেছেন। এমন একজন প্রতারকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করার স্পর্ধা এই সরকারের আমলেই হয়।