‘বাকশাল-দুর্ভিক্ষ-নিপীড়নই আওয়ামী লীগের ইতিহাস’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে বাকশাল, দুর্ভিক্ষ এগুলোই আছে। তাদের ইতিহাস বিরোধীদলের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন, মানুষ হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা। তার জন্য বিএনপির প্রতি তাদের এতো বিদ্বেষ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক এডভোকেট আবদুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ১৫ই আগস্ট এর সময় জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু ১৫ই আগস্ট রাত পর্যন্ত যারা মন্ত্রী ছিলেন তারা গিয়ে শপথ নিলেন খন্দকার মোশতাকের ক্যাবিনেটে। খন্দকার মোশতাকের ক্যাবিনেটের ২৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২২ জন হল বাকশালের মন্ত্রী ছিলেন।

মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাকশালের মন্ত্রিসভা ছিল সেই মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা মোস্তাকের ক্যাবিনেটে শপথ নিলেন। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর তিন প্রধান খন্দকার মোশতাকের কাছে গিয়ে আনুগত্য করলেন, জিয়াউর রহমান তো যাননি। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে, জিয়াউর রহমান তা খুলে দিয়েছে। এই যে পার্থক্যটা একটি ইতিবাচক, ন্যায়ের পক্ষে গণতন্ত্রের পক্ষে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, সরকার মনে করে যে বিএনপি নাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা যারা আছেন, সমালোচনা করার সময় কিন্তু জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ৫ আসনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের নেত্রী ২ আসনে পরাজিত হয়েছেন আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনেই নির্বাচিত হয়েছেন। এই যে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, এই যে বিপুল জনপ্রিয়তা- এটা কখনোই শেখ হাসিনা পছন্দ করতে পারেনি।

আরো পড়ুন