যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে ভুক্তভোগীরা

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে অনেক ভুক্তভোগী তথ্য দিচ্ছেন। তারা বিমানবন্দর থানা পুলিশকে পাপিয়ার দ্বারা কীভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সেসব তথ্য দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিএম ফরমান আলী বলেন, ‘রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে তদন্ত কর্মকর্তাদের নানা তথ্য দিয়েছেন পাপিয়া। আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছি, তাতে অবাক হচ্ছি। এছাড়া প্রতারণার শিকার কয়েক ব্যক্তি থানায় এসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে গেছেন। আমরা সবকিছুই তদন্ত করছি।’

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ‘র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাপিয়ার ঘটনার তদন্তের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করবে র‌্যাব। পাপিয়ার অপকর্মের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। হোটেল ওয়েস্টিনের কেউ পাপিয়ার অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল কি না সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

তদন্ত সংশ্লিষ্ট্ররা জানান, গুলশানের ঢাকা ওয়েস্টিন হোটেলের ২২ তলায় সবচেয়ে বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট। চার বেডরুমের ওই স্যুইটের প্রতিরাতের ভাড়া সাধারণভাবে দুই হাজার ডলারের মত। পাপিয়া তার অতিথিদের প্রথমে নিয়ে যেতেন ওয়েস্টিনের লবিতে। পরে লাঞ্চ বা ডিনার শেষে সেখান থেকে নিয়ে যেতেন তার নামে বরাদ্দকৃত ওই স্যুইটে।

২৩ তলাবিশিষ্ট ঢাকা ওয়েস্টিন হোটেলের লেভেল-২২ এ ১ হাজার ৪১১ বর্গফুট জায়গাজুড়ে বিলাসবহুল স্যুইটটি। সেখানে অতিথিদের নিয়ে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করতেন পাপিয়া। এরপর পছন্দসই তরুণীকে নিয়ে গোপন কক্ষে প্রবেশ করতেন ভিআইপিরা। অবশ্য আগে থেকে ওই কক্ষে গোপনে ক্যামেরা সেট করে রাখতেন পাপিয়া। পরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও করে ব্ল্যাক মেইল করতেন পাপিয়া। যাদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, পাপিয়া ও তার স্বামী এবং দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা ও জাল টাকার মামলা হয়েছে। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক মামলা হয়েছে শেরেবাংলানগর থানায়। নরসিংদীতে আরো একটি মামলা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বিমানবন্দর থানার একটি এবং শেরেবাংলানগর থানার দুটি মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসব রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

You might also like