হায়রে ঐতিহ্য,হায়রে আওয়ামীলীগ,শেষপর্যন্ত শাহেদের মত দুর্নীতিবাজদের দলে পরিণত হল?

সংগ্রাম ডেস্ক: আওয়ামী লীগ দেশের সবচাইতে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী দল কিন্তু এই আওয়ামী লীগের আরো একটি ঐতিহ্য আছে তা হলো দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের দল .

স্বাধীনতার পূর্বে থেকেই আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তায়ন চলে আসছে .আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দুর্নীতি মামলা জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের মধ্যে দুর্নীতি এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল যে শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষোভ নিয়ে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন—

“সবাই পায় সোনার খনি ,আমি পেয়েছি চোরের খনি .আমার দলের সবাই চোর “.

বর্তমানে আওয়ামী লীগ তো আরো বেশি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন. দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় দুর্নীতির মামলা হয়েছিল যদিও তিনি সেই মামলা উঠিয়ে নিয়েছেন .

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানেন তার দলের তৃণমূল থেকে সকলেই দুর্নীতিবাজ তাই সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ,আমার দলের আমাকে ছাড়া সবাইকে কেনা যায়.

ওয়ান ইলেভেন সরকারের অপশাসনের পর বর্তমান আওয়ামীলীগ জোরপূর্বক ভাবে ক্ষমতায় এসে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করেছে.আর এই সুযোগ নিয়েছে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ্ গ্রুপ থেকে শুরু করে শাহেদের মত দুর্বৃত্তরা .

শাহেদ একদিনে তৈরি হয়নি ,শাহেদের উত্থানের পিছনে আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত কারণ তারা তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন. আজ আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই, কোন বিশ্বাস নেই ,জনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ একটা দুর্বৃত্তায়নের দল ,দুর্নীতিবাজদের দল, এই দলের এই দলের সবাই দুর্নীতিবাজ.

জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত. কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়. জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নেবে এবং আওয়ামী লীগের অবস্থা হবে শাহেদের মতো নর্দমার কীটের মতো এটা শুধু সময়ের ব্যাপার .

দেশের অর্থনীতি বর্তমান সরকারের আমলে ধ্বংস হয়ে গেছে. বর্তমান সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে সে বাজেট সম্পূর্ণভাবেই দুর্নীতিবাজদের জন্য করা হয়েছে.

বর্তমান বাজেটের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে অনেক কম এবং অনিয়ম অনেক বেশি . বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটা ব্যর্থ ,অপদার্থ তিনিও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন.

তা না হলে শাহেদের মত দুর্নীতিবাজ কিভাবে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে এমন অমানুষিক কাজ করতে পারে? মানুষের জীবন নিয়ে কিভাবে তারা ছিনিমিনি খেলতে পারে ? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাজেটের অর্ধেকই দুর্নীতি হবে বলে মানুষ বিশ্বাস করে. আর এই দুর্নীতির মূল বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী.

স্বাস্থ্য খাতের এ ব্যর্থতা দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের দায়ভার বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপর বর্তায় ,এর দায়ভার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে.
শুধু শাহেদ এর শাস্তি দিলেই হবে না ,এর সঙ্গে উচ্চমহলের যারা জড়িত তদন্তের মাধ্যমে সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে .তাহলেই শাহেদর মত দুর্বৃত্তরা আর অন্যায় করার সাহস পাবে না .
শাহেদ এর আমলনামা অবাক হওয়ার মতো .এসব দুর্নীতিবাজ জানে যে বর্তমান সরকার দুর্নীতিতে একটা চরম অবস্থায় পৌঁছে গেছে ,সুতরাং তারা পার পেয়ে যাবে.

এই বিশ্বাস থেকে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু করেছে. কিন্তু পাপ তার বাপকেও ছাড়েনা প্রবাদটা তারা ভুলে গেছে. জনগণ তাদের প্রতিটা দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপশাসনের জবাব দেবে এবং এই বর্তমান আওয়ামী লীগের জায়গা হবে ডাস্টবিনের সবচাইতে নিম্ন স্থানে এটা শুধু সময়ের ব্যাপার.

জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে সময়মতো তারা তাদের অধিকার আদায় করে নেবে এবং দেশে গণতন্ত্র স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশের মানুষ বদ্ধপরিকর.

আওয়ামী লীগের মতো দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতিবাজদের স্থান বাংলাদেশ হবে না এটা শুধু সময়ের ব্যাপার.

দেশ আপন গতিতে চলবে. স্বাধীনতার সুফল দেশের সাধারণ মানুষ ঠিকই আদায় করে নেবে শাহেদ এর মত দুর্বৃত্তায়ন ও আওয়ামী লীগের মত দুর্নীতিবাজ স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না.

লেখক :-এম,এস,ইসলাম মৃধা
(ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ)

আরো পড়ুন