ইশরাক বিজয়ের আগেই মানুষের ভালোবাসায় বিজয়ী
গত জাতীয় নির্বাচনের পর এটি আমার প্রথম লেখা।রাজনীতিতে পক্ষ, বিপক্ষ থাকবেই কিন্তু এই ভাবে লজ্জা হারিয়ে যা দেখিয়েছে গত নির্বাচনে তা দেখে আমি আসলেই নিজেকে বাংলাদেশি বলে পরিচয় টুকু দিতে ঘৃনা বোধ করছি তাই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলাম।
পরিবার পরিজনের বাইরে কারো সাথে মেশা তো দূরের কথা , কথা বলাও বিরক্ত বোধ করছিলাম কারন আমরা সবাই একই দেশের নাগরিক একই চরিত্র আমাদের সকলের ভিতরেই রয়েছে।
সব থেকে বেশি বিরক্ত ছিলাম বিএনপির উপর কারন এত জনপ্রিয় একটি দল যারা দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একটি হরতালের ডাকও দিলো না???
বিএনপি দলটি কেমন জানি নিরব হয়ে যাচ্ছিল কিছুটা অবহেলাই করা হচ্ছে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন এটা মেনে নিতে আমি পারছিলাম না।
ঘুরেফিরে আবার এলো ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন । নির্বাচন নিয়ে আমার কোন আগ্রহই হচ্ছিল না ।
কিন্তু নিজের শহরের মেয়র নির্বাচন একটু হলেও মনটা চায় দেখতে কে কি অবস্থায় এগুচ্ছে সেই থেকেই একটু আরেকটু দেখে নেওয়া সারাদিন প্রার্থীরা কি করছে ।
ইশরাক হোসেনের কথা অনেকেই বলেছে সে রাজনীতিতে খুব আগ্রহী কিন্তু মন দিয়ে দেখিনি তবে এবার মনে হচ্ছে ইশরাকে ভিতরে তার বাবার মতন অনেক গুন আছে যা মানুষের পাশাপাশি আমাকেও দূর্বল করেছে।
গত সপ্তাহে আমাদের চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ভাইয়ের সাথে কথায় অনুরোধ করে বল্লাম ভাইয়া একটু কষ্ট করে ঢাকা দক্ষিনে যদি যেতেন নির্বাচনী প্রচারে কারন আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল প্রচারনায় নামতে তাই এই অনুরোধ।
আমাদের চেয়ারম্যান গিয়েছিলেন আমাদের দলের নেতা কর্মী নিয়ে এবং নিয়মিত যাচ্ছেন ।
ইশরাকের ভিতর কি জানি একটা যাদু আছে মানুষকে কাছে টেনে নেবার তাই আমি নিজেও তার প্রতি দূর্বল হয়েছি।
আমি মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ।
বাংলাদেশটার জন্ম হয়েছিলো আমাদের বাবা ও চাচাদের মুক্তিযুদ্ধের কারনেই।
দেশটার জন্ম যেহেতু আমাদের প্রবীণরা দিয়েছিলো তাই দেশটির রক্ষার দায়িত্বও আমাদেরই।
আমার অনুমান এই অনুভুতি থেকেই ইশরাকের রাজনীতিতে প্রবেশ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাদেক হোসেন খোকার সাহসী ও মেধাবী সন্তান আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন |
বহু বছর পর যেভাবে ঢাকা মহানগরের নেতা, কর্মীরা রাস্তায় নেমে এসেছে তা দেখে আমি বার বার ইশরাকের ভিতরে ৭১ এর একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি।
দেখতে ও অনুভব করতে পাচ্ছি ইশরাকই এই যুগের গনতন্ত্র ও বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের একজন মুক্তিযোদ্ধা।
হে যোদ্ধা শুভ কামনা রইল তোমার বিজয়ের ।
তারপরেও বিলুপ্ত প্রায় গনতন্ত্রকে ফেরানোর প্রত্যাশায় বিএনপির ইশরাকরা লড়ে যাচ্ছে। খোকার মতো সত্যিকারের গেরিলা যোদ্ধার সন্তান ইশরাক পুরো দেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে গনতন্ত্রের। বিপরীতে শেখ মনির সন্তান তাপস স্বপ্ন বুনছে ভোট ছিনতাইয়ের।আজ থেকে ২ দিন পরে শেখ মনির সন্তান শেখ তাপস ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে সামান্য ঢাকাইয়া গেরিলা খোকার ছেলে ইশরাকের চোখে চোখ রাখতে পারবে না। লজ্জা যদি না থাকে তাহলে এরা মানুষত্বের প্রথম উপকরন লজ্জা হারিয়ে পশুর সমতুল্য ছাড়া কিছুই না ।
জয়, পরাজয় পরের কথা ঢাকা শহরে মানুষের গন জাগোরন খোকার ছেলে দেখিয়েছে এটাই আমাদের জয়ের স্বাধ।
-রাকেশ রহমান ( লেখক ও যুগ্ন মহাসচিব বাংলাদেশ লেবার পার্টি