খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করুন — শামসুজ্জামান দুদু

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি যদি নির্বাচন করতেন বা সুষ্ঠু নির্বাচন হত তাহলে দেখা যেত প্রধানমন্ত্রীর আসনে নির্বাচন করে তিনি জিতে যেতেন। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাব তাকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বসে জাতি যে দুর্যোগের মধ্যে আছে তার মোকাবিলার ব্যবস্থা করতে হবে।

শনিবার, মার্চ ১৪, ২০২০ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। চীনের অবস্থা যদিও একটু উন্নতির দিকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তবে ইউরোপের দেশগুলোতে ভয়াবহরূপ ধারণ করেছে এ ভাইরাস। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সন্তোষজনক এটা বলা যাবে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছেন এই ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে সার্ককে উদ্যোগ নিতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন নিয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তার উদ্যোগগুলো এখন যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সিরিয়াসলি নিয়ে মানুষদেরকে বাঁচানোর জন্য কাজ করে তাহলে মানুষ মুক্তি পাবে।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুদু বলেন, সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব করোনাভাইরাস এখনো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে নাই। তাই এক সপ্তাহের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হোক।

তিনি বলেন, আমরা আশা করব সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব সহকারে এই করোনাভাইরাস বিষয়টি দেখবেন।

তিনি আরও বলেন, এই জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। যে জাতি নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান করেছে, দেশে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলা করে যে জাতি সেই জাতির ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই জাতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা করবে এটাই আমরা আশা করি।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হক হুদা, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, লায়ন মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার, মুক্তারা আকন্দ, রুবেল আকন্দ, প্রজন্ম দলের সভাপতি জনি সরকার প্রমুখ।

You might also like