মানুষ মানুষের জন্য!

নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
গৃহ বন্দি মানুষ গুলোকে ফোন কোম্পানিগুলো ফ্রী ইন্টারনেট এবং ফ্রি মিনিট দেওয়ার অনুরোধ করছি।
এমনিতেই আতঙ্কে সবার দম বন্ধ হয়ে আসছে। তার উপর গৃহ বন্দি মানুষ গুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আরো বিপদ হয়ে যাবে।
প্রয়োজনে পরিস্হিতি স্বাভাবিক হলে টাকা কেটে নিবেন।
তবুও এই দূর্যোগের ঘন ঘটায় আমাদেরকে এই টুকু সহযোগিতা করুন।
যোগাযোগের জন্যে বর্তমানে পানির মত ইন্টানেট এবং মিনিট খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রিপ্রারেশন নেওয়ার আগেই আমরা গৃহ বন্দি।
দুইমাস ধরে ভাইরাস আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। আর আমার দেশের সরকার তিন দিন আগেই বলেছেন তিন মাস আগেই প্রিপ্রারেশন নিয়ে রাখছেন।
( মিথ্যা কথা)
আরেক মন্ত্রী বলেছেন করোনা এমন কোন শত্রু নয় যে তাকে মোকাবিলা করা যাবেনা।
আওয়ামী লীগ করোনার চেয়ে শক্তিশালী। (মিথ্যা কথা)
ঠিক তার তিনদিন পর থেকে আমরা গৃহ বন্দি।
এই মিথ্যাবাদীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হত যদি এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকতেন।
কারণ উনি জাতির উদ্দ্যেশে দেওয়া ভাষনে বলেছিলেন সাত কোটি মানুষ সাড়ে সাত কোটি কম্বল আমরাটা কই । সবাই পেলো স্বর্ণের খনি
আমি পেলাম চোরের খনি।
একজন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কল্যাণ অকল্যাণ প্রধানমন্ত্রী জানতে পারে।
কেমন লোকজন দিয়ে কেবিনেট সাজিয়েছেন যেনো সবাই একেক জন কুলুর বদল।
কাঁধে জুঙ্গাল লাগিয়ে দিয়েছে এবার চলতে থাকো।
আমাদের মন্ত্রীসভা ও তাই তারা চলছে নিজ গতিতে, হঠাৎ আলো ঝলমলিয়ে উঠলে তাদের ঘুম ভাঙ্গে আর তখন তারা যা মুখে আসে তাই বলে। একজন দায়িত্বশীল মহিলা ডা. সাবরিনা বেগম কয়েক দিন ধরে রাজনৈতিক চাপাবাজি আর মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রেস বিফ্রিং করতে এসে সে নিজেই অসচেতনার আরেক জনের মুখের উপর কাশি দিতে থাকে।
(বেচারা এমন অসহায় ভাবে হেসে দিলো যেনো এখনি তাকে করোনা এ্যাটাক করলো)
সে নিজেও হয়তো জানেনা কিভাবে সচেনতা অবলম্বন করতে হয়।

ঐ যে বললাম আলো ঝলমলিয়ে উঠেলে তাদের টনক নড়ে ।তারপর হুবহুব লিখাটা পড়ে শুনায়, আবার সাংবাদিকের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে ও তিনি রাজি না।
দেশের এই বিপর্যয়ের জন্যে তারাই দায়ী।
গুজব ছড়ানো কারণে রোহানের বাবাকে বন্দী করেছে ঠিক যেনো শেখ মুজিবের আমলে গুজবের মত ঘটনা।
গুজব শব্দটি এসেছে ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
১৯৭২ সালের মার্চ মাস শেষ হয়ে এসেছে। ঠিক সেই সময়
ঢাকায় একটা জমজমাট বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত কাজের চাপে মুজিব অসুস্থ হয়ে গেছে। তাই স্বাস্থ্য আর প্রশাসনিক প্রয়োজনে মুজিব পুনরায় তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করছেন। আওয়ামী লীগকে পুর্নগঠনকল্পে মুজিব সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
সাংবাদিক তাজউদ্দীনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি পরিস্কার ভাবে জানালেন, কেউ আমার গলা কাটার চেষ্টা করছে।এব্যাপারে মুজিবের প্রতিক্রিয়া ও ঠিক সেই পরিমান তীক্ষ্ণ ছিল।তিনি সাংবাদিকে বললেন, ” তারা কি মনে করে যে, আমি সরকার পরিচালনায় অক্ষম????
সুস্পষ্ট ভাবেই স্বার্থান্বেষী মহলের উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এ গুজব প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন করেছিল।
তারপর থেকে এই গুজব এখন মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে গেলো।
সত্যি কথা ও ক্ষমতার স্বার্থে এখন গুজব হয়ে যায়। সেইদিন দেখলাম রাষ্ট্রপতি বিদেশ থেকে আসছে করোনার ভাইরাস নিয়ে।
আবার কেউ লিখছে ওকা নাকি আক্রান্ত।
আসলেই কি গুজব ছিলো???
কেউ করোনা নিয়ে লিখলে তাকে
এরেস্ট করেছে না হয় পোস্ট ডিলিট করিয়েছিলো।কারণ
এমন কথা রটে যায় মানুষের মুখে মুখে তখন মহা উৎসবে সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা আপনাদের আশে পাশে থাকা কোনশক্তি আপনাদের আশে পাশে থাকতো না।

আমি লিখে দিয়ে গেলাম তখন এমন গুজব ছড়িয়ে গেলে সব ভবন খালি হয়ে যেতো।
এক উৎসবের জন্যে বাংলাদেশ কঠিন বিপদ মোকাবিলা করছে অশ্রু সিক্ত নয়নে। ক্ষোভে আগ্নেয়গিরির মত হতভস্ম হচ্ছে প্রতিটি হৃদয়।
গত বারটা বছর পুলিশ বাহিনী লড়ছে বিএনপির নেতা কর্মীদের দমিয়ে রাখতে।
আর দেশের ক্লান্তি লগ্নে বড় বড় ইস্যু গুলোতে সাহস নিয়ে বীর দর্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জীবন বাজি রেখেছে।
এবার আর ব্যারাকে ফিরে যেওনা।
করোনা মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সমাজের দূর্নীতিবাজ নামক কীট গুলোকে শায়েস্তা করেই ব্যারাকে ফিরবে।

অতএব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুণ।

You might also like