সংগ্রাম ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির নীতি কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয় বরং সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের যেসব নীতি ও কৌশল বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী বিএনপি তার বিরুদ্ধে। ভারত কিংবা যে দেশই হোক, বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি কিংবা কর্মকান্ড হলে বিএনপি অবশ্যই বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়াবে। দেশের জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়াবে। এটাই বিএনপির নীতি।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পদক কামাল উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় আবারো স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বিনাভোটে যে সরকার গত একদশকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যেসব চুক্তি করেছে তার প্রতিটি চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। যেসব চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী অবশ্যই সেসব চুক্তি বাতিল করতে হবে।
ভারতের সঙ্গে বর্তমান ভোট ডাকাত সরকারের সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তির কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, টাওয়ার বসিয়ে সমুদ্র উপকূলে ভারতের নজরদারির সুযোগ দেয়ার চুক্তিতে বাংলাদেশের কি লাভ সেটা জনগণকে জানতে দিতে হবে। বিদেশ থেকে এলপিজি এনে দেশের পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি করে এটি ভারতে রপ্তানি করলে বাংলাদেশের কি লাভ সেটি জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। যার সঙ্গেই যে চুক্তিই হোক, আগে নিশ্চিত করতে হবে বিনিময়ে কি পেলো বাংলাদেশ, কি পাচ্ছে বাংলাদেশ।
তারেক রহমান বলেন, ভারতের সঙ্গে করা অসম এবং অন্যায্য চুক্তির প্রতিবাদ করায় একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী বিএনপি সম্পর্কে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আত্মমর্যাদাহীন এইসকল ব্যাক্তি ও গোষ্ঠী কার দালালি করছে জনগণ জানতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে, একটি দেশের সরকারের সঙ্গে আরেকটি দেশের সরকারের সম্পর্ক হবে ইস্যুভিত্তিক। সম্পর্ক হবে পারপস্পরিক সহযোগিতা, স্বার্থ রক্ষা এবং সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। অথচ নিশিরাতের সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন ভারতের সঙ্গে নাকি বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো। বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের এ ধরণের সম্পর্ক উদ্ভট, অমর্যাদাকর এবং দেশের জন্য অবমাননাকর।
তারেক রহমান বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা হচ্ছে, যেকোনো অবস্থায় বাংলাদেশের পক্ষে থাকা, বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে থাকা, জনগণের স্বার্থের পক্ষে থাকা সর্বোপরি গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকার, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে থাকা। যারা এর বিরুদ্ধে তারা বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী অপশক্তি। তারা কখনোই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি নয়।
এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবরার হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, শুধু আবরার হত্যার বিচারই যথেষ্ট নয় যে কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে তার সেই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মানুষের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তারেক রহমান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আবরারকে কি কারণে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট। তার মতামতে প্রতিপালিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বার্থের কথা। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর কিছু বুদ্ধিজীবী কিংবা পেশাজীবী পরিচয়ধারী ব্যক্তি-গোষ্ঠী, আবরার হত্যার কারণ সম্পর্কে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এরা দালাল। এরা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি নয়।
তারেক রহমান আরো বলেন, গত একদশকে দেশের স্বার্থ এবং গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে শত শত আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হত্যার বিচারের পাশাপাশি যেসব কারণে সারাদেশে আব্রারদেরকে জীবন দিতে হয়েছে তাদের সেইসব দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সংহতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।
১৯৭৫ সালের আগে ও পরের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতার দখল নিয়ে একদিকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বনাম জাসদের সশস্র লড়াইয়ে যখন সারাদেশে চলছিল ভীতিকর অবস্থা, সেনাবাহিনীতে চলছিল ক্যু-পাল্টা ক্যু, এমন এক অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে ১৯৭৫ সালের ২ রা নভেম্বর মধ্যরাতে বাংলাদেশের তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেছিল একটি চিহ্নিত অপশক্তি।
তবে স্বাধীনতার ঘোষককে বন্দি রেখে বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত সফল হতে দেয়নি দেশপ্রেমিক জনগণ। ষড়যন্ত্রকারীদের সব চক্রান্ত আর অরাজকতা নস্যাত করে দিয়ে, ৭ নভেম্বর. সিপাহী -জনতার ঐকবদ্ধ বিপ্লব ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে স্বাধীনতার ঘোষককে মুক্ত করে আনে। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের মুক্তি জনগণের কাছে ছিল বাংলাদেশের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। তাই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির কাছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির কাছে ৭ নভেম্বর একটি চেতনা। ৭ নভেম্বরের চেতনায় শহীদ জিয়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনের বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথ থেকে এনেছিলেন আলোর পথে।
তারেক রহমান বলেন, লাখো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে, অসংখ্য মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে যেই আকাঙ্খা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল.সেই আকাঙ্খা বাস্তবায়নে শহীদ জিয়া দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এমনকি আওয়ামী লীগকেও বাংলাদেশে নিজ নামে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শহীদ জিয়ার সেই কাঙ্খিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধ, সু সংহত করার কাজটি অব্যাহত রেখেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
কিন্তু বাংলাদেশ যাতে গণতন্ত্রের পথে চলতে না পারে, আত্মমর্যাদায় বলীয়ান হয়ে দাঁড়াতে না পারে.এ কারণেই দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে, বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, একই ধারাবাহিকতায় সেই ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি এখন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রেখেছে। তারেক রহমান বলেন, সেই অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে এখনো গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
তারেক রহমান আরো বলেন, .২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে ১০ কোটি মানুষের ভোটে ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বর্তমান ডাকাত সরকার। এই ডাকাতরা গত একদশকে দেশ থেকে পাচার করে দিয়েছে নয় লক্ষ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লোপাট করেছে আটশো ১০ কোটি টাকা। সেই টাকার এখনো কোনো খবর নেই। শেখ হাসিনাকে ডাকাত সর্দারনী উল্ল্যখ করে তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, এই ডাকাত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের লোপাট হওয়া টাকার খবর ২৪ দিন পর্যন্ত জনগণকে জানতে দেয়নি। বিদেশে খবর প্রকাশ হওয়ার পর দেশের জনগণ জানতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের টাকা লোপাট হওয়ার খবর। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর এই টাকা লোপাটের সঙ্গে জড়িত বই অভিযোগ করেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান আরো অভিযোগ করে বলেন, তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দেশে চলছে হরিলুট। খাতা, বালিশ, চেয়ার কম্বল কেনার নামেও লুটে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো ফতুর করে দিয়ে দেশে এখন খেলাপি ঋনের পরিমান প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। তিনি প্রশ্ন করে কারা এইসব ঋণখেলাপি ?
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকটে, অথচ কোটি কোটি নগদ টাকার বস্তা বেরিয়ে আসছে আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের ঘর, আলমারি কিংবা ড্রয়ার থেকে। এখন দুর্নীতিবাজদের বাসা বাড়ি পরিণত হয়েছে ব্যাংকার ব্রাঞ্চে।
তারেক রহমান বলেন, অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাত সর্দারনী এখন কয়েকজন লুটেরা ধরা অভিযানের নামে আইওয়াশ করেছে। তবে জনগণ মনে করে, চলমান চোর ধরা অভিযানের নেপথ্যে দেশের স্বার্থ নয়, এই ডাকাত সরকার তাদের অভ্যন্তরীন কোনো কিছু থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতেই অভিযানের নামে এই আইওয়াশ।
তারেক রহমানের অভিযোগ, গত একদশকে আওয়ামী ডাকাতরা জেনেশুনেই মসজিদের শহর ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে। তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম অনাচারের বিরুদ্ধে দুদক কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া তাদের নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হওয়া কথা ছিল, এর জন্য করো অনুমতির প্রয়োজন ছিলোনা। তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে নাকি গত একদশকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এইসব অনাচার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেয়া হয়নি, জনগণ জানতে চায়।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী দুর্নীতি লুটপাটের পর আওয়ামীগকে বলা হয়েছিল চোরের দল এখন শেখ হাসিনার আমলে সেই দলটিকে ডাকাতদের দলে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লিগ এখন ডাকাতদের দল।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের যেই ভূমিকা ঠিক একই রকমের ভয়ঙ্কর ভূমিকায় বর্তমান আওয়ামী লীগ। শুধু এদের নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে চরিত্র পরিবর্তন হয়নি।
১৯৭৪ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ জন শিক্ষক দেশের তৎকালীন পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। বিবৃতিটি তৎকালীন দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আলোচনা সভায় তারেক রহমান ৭৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ জন শিক্ষকদের দেয়া বিবৃতির কয়েকটা লাইন উল্লেখ করেন। বিবৃতির কয়েকটি লাইন হলো, …‘জাতির জীবনে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রতি এত অনাসক্তি, অত অবজ্ঞা, এত অদ্ভুদ রকম ঔদাসীন্য কখনও দেখা গেছে বলে বিশ্বাস হয় না। নিজের প্রতি আস্থাহীন জাতি যে কি পরিমাণ জড় পদার্থে পরিণত হতে পারে, বর্তমান বাংলাদেশ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই একাত্মতা, ত্যাগের সহজ শক্তির সেই প্রচন্ডতা, পরবর্তীকালে সিদ্ধান্তহীনতা, ভুল সিদ্ধান্ত, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা আর গুটিকতক লোকের লাগামহীন দুর্নীতির সয়লাবে সব ধুয়ে গেছে।….”।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের কি আর্শ্চয্য মিল-অমিল। তবে দেখা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের চেয়েও বর্তমান আওয়ামী লীগ আরো ভয়ঙ্কর। তখন সাহস করে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৮৪ জন শিক্ষক একটি বিবৃতি দেয়ার সাহস করেছিলেন বটে আর এখন সেই সাহস দেখানোরও পরিবেশও নেই।
তারেক রহমান সারেদেশের শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের খুন হত্যা নির্যাতন নিপীড়ণের ভয়ঙ্কর চিত্র উল্লেখ করে বলেন এই ছাত্রলীগ এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ভিসিদের ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে। আর ভিসিদের চরিত্র হয়ে উঠছে ডাকাতদের মতো।
দেশের বর্তমান সংকটময় অবস্থার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, গত একদশক ধরে বিএনপি এবং গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি শত নির্যাতন নিপীড়ণের পর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারেক রহমান বলেন, দেশটাকে সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের দায়িত্ব একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোরই নয়। এই অবস্থায়, তিনি বাংলাদেশের পক্ষের প্রতিটি মানুষ বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী কিংবা পেশাজীবীদেরকে যে যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের প্রতি চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, এই সরকারের পতন ঘন্টা বেজে গেছে। জালিম শাহীর কবল থেকে অচিরেই দেশ -জনগণ -গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। মুক্তি পাবেন আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া। curtesy by Shiraho news