বেগমপাড়া এবং মুরাদ সাহেবের কপাল

ছবিটি কবেকার? ঠিক নিশ্চিত নই। হতেপারে গতকালের। নাও হতে পারে। যেদিনেরই হোক না কেন ডা. মুরাদ হাসানের বিজয়চিহ্ন দেখানোর তাৎপর্য এতে কমে না।

এমনিতে গেলো একটা সপ্তায় কত কিছুই না ঘটে গেলো তার জীবনে। রাজনীতিবিদদের ক্যারিয়ারে এমন সিডর অবশ্য একেবারে বিস্ময়কর নয়। মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায় পুরো ক্যারিয়ার। ডা. মুরাদ হাসানের জীবনেও এমনটা ঘটেছে। কেন তিনি একের পর এক শব্দবোমা নিক্ষেপ করছিলেন তার কারণ বুঝা অবশ্য মুশকিল।

শুরুটা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে। এরপর একের পর এক আক্রমণ করেছেন বিরোধী নেতাদের। জাইমা রহমান ও ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে যান।

এসব নিয়ে যখন তীব্র বিতর্ক চলছিল তখনই বের হয় অডিও বোমা। যেখানে হোটেল কক্ষে আসতে ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকাকে চাপ দিতে দেখা যায় তাকে। এমনকি রীতিমতো ধর্ষণের হুমকিও দেন তিনি। মন্ত্রিসভার এক সদস্যের মুখের এমন ভাষা দেখে চারদিকে বিস্ময় তৈরি হয়।

দ্রুতই পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের নির্দেশ দেন মুরাদ হাসানকে। জেলা আওয়ামী লীগও বহিষ্কার করে তাকে। হতবাক ডাক্তার সাহেব চলে যান আত্মগোপনে।

সবশেষ খবর এরইমধ্যে জেনে গেছেন। মুরাদ হাসান দেশ ছেড়েছেন। আপাতত তার ঠিকানা কানাডা। প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি বেগমপাড়ায় স্থায়ী হচ্ছেন?

ফৌজদারী অপরাধ কখনও তামাদি হয় না। কয়দিন আগে এক বিচারকের পর্যবেক্ষণ ঘিরে বিতর্কের মধ্যে একথাটি খুব শোনা গেছে। তো দুই বছর আগে যে মুরাদ সাহেব এক নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দিলেন তার কি কোনো বিচার হবে না? তিনি ধর্ষণ করেছিলেন কি না তার কি কোনো তদন্ত হবে না? নারীদের প্রতি চরম অবমাননাকর মন্তব্যের জন্যও কি তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না? এসব প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা।

সংবিধানে এবং আইনের কেতাবে অনেক কথা বলা আছে, যার অর্থ বুঝতে পারি না। আইনের চোখে সবাই সমান এটিও এমনই একটি কথা। রীতিমতো কৌতুক।

You might also like