বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়ালের মৃত্যুতে সাবেক ১৯ জন ছাত্রনেতা’র শোক
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) ও ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান আজ ২:১৫ মিনিটে ঢাকা মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। আউয়াল খান এর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক ১৯ জন ছাত্রনেতা।
আাজ এক বিবৃতিতে সাবেক ছাত্র নেতৃদ্বয় বলেন, “মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) ও ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান এর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যাথিত হয়েছি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে অদ্যবধি দেশ ও দলের সকল দু:সময়ে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসীকতার সাথে আমাদের পাশে থেকে নিষ্ঠারসহিত দায়িত্ব পালন করেছেন মরহুম আব্দুল আউয়াল খান। আমাদের এই সহকর্মীর অকাল মৃত্যুতে আমরা দেশবাসীর ন্যায় বাকরুদ্ধ। ছাত্র রাজনীতির এক অকুতভয় সৈনিক ছিলেন মরহুম আব্দুল আউয়াল খান। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে জাতীয় পর্যায়ে একজন নিবেদিত প্রান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শোকে, সংকটে, লড়াই সংগ্রামের এক অনন্য যোদ্ধা আব্দুল আউয়াল খান বিএনপি’র রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছিলেন জীবনের লক্ষ্য হিসেবে। আব্দুল আউয়াল খান দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। করোনা ভাইরাসের ছোবলে তার মতো একজন যোগ্য ও দক্ষনেতা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় বিএনপি’র সকল নেতাকর্মী শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ছাত্র জীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রীর নেতৃত্বে অনুপ্রানিত হয়ে মাথা উঁচু করে রাজরোষকে উপেক্ষা করে দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। এই জন্য নিবেদিত প্রান এই নেতাকে সইতে হয়েছে নানা শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। তার এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিকট স্মরনীয় হয়ে থাকবেন।
পরম করুনাময় আল্লাহ তাঁর নিজ অনুগ্রহে মরহুম আব্দুল আউয়াল খানকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দান করুন। আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
সাবেক ছাত্রনেতৃবৃন্দের পক্ষে বার্তা প্রেরকঃ
(ড. আসাদুজ্জামান রিপন)
সাবেক সভাপতি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
বিবৃতি প্রদানকারী সাবেক ছাত্র নেতৃবৃৃন্দঃ
১. শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল
২. ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৩. আমানুল্লাহ আমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৪. এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৫. ফজলুল হক মিলন, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৬. খায়রুল কবির খোকন, সাবেক জিএস, ডাকসু
৭. নাজিমুদ্দিন আলম, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৮. শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৯. কামরুজ্জামান রতন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক
১০.হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১১. আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক সভাপতি,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১২. এবিএম মোশারফ হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১৩. সফিউল বারী বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১৪. সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাবেক সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১৫. আমীরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১৬. আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাবেক সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১৭. হাবিবুর রশীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১৮. রাজীব আহসান, সাবেক সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১৯. আকরামুল হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।