অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা দেয়ার আহ্বান আলালের

মধ্যরাতে আদালত বসিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের যারা অভিভাবক সেই জনগনের কাছে ক্ষমতা ফেরত দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দেয়ার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলোর চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে এবং সারাদেশে নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটি’র উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, গত পরশুদিন এবং তার আগের দিন দু’রাতে আদালত মধ্য রাতে বসেছে। উচ্চ আদালত বসে বাকেরগঞ্জ’র ৪ টি শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিয়েছে। আরো একটি ঘটনায় অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ তারা নিয়েছেন। আদালত কে বলব সব যখন স্তব্ধ হয়ে যায় মানুষ তখন আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকে। আপনারা মধ্যরাতে আদালত বসান। মধ্যরাতে আদালত বসিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের যারা অভিভাবক সেই জনগনের কাছে ক্ষমতা ফেরত দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দিন। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করুন তাহলে মানুষ আপনাদের স্মরণ করবে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখে যৌন নির্যাতন হয়েছে তার বিচার এখনো পর্যন্ত হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ ই মার্চের ভাষণে যাওয়ার পথে যৌন নিপীড়নের শিকার বোনদের বিচার পাওয়া হয়নি। ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলের পরিমল যে ছাত্রী ধর্ষণ করেছে তার বিচার হয়নি। হোটেল রেইনটিতে আওয়ামী লীগের এমপির দুই ছেলে গণধর্ষণ করছে তার বিচার হয়নি। আমরা জানি এখন যেসব ধর্ষণ হচ্ছে এগুলোরও বিচার হবে না। শুধুমাত্র চোখে সুরমা লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিচার ব্যবস্থাকে কুলষিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে দুটি পথ, প্রথমটা রাজপথে উত্তাল আন্দোলন করা, আরেকটা হচ্ছে আদালত।

বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে এই ৫০ বছরে বর্তমান রাষ্ট্রপতি কি পরিমান আওয়ামী দস্যুদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তা আপনারা জানেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের, শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কলমের খোঁচায় যা খুশি তা করে ক্ষমা পেয়ে যাবে। আইনে কিছু আসে যায় না।

অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানসহ যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

এসময় মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন