ইকবাল বাহার চৌধুরী‘রা বাঁচলে বিএনপি বাঁচবে!

STV Desk: গত ১ লা নভেম্মর সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটি দেখে মনে হয়েছে দলের জন্য ত্যাগ মূল্যহীন, টাকার বিনিময়ে কমিটি বিক্রি করা হয়েছে। দেশ ও দলের এই ক্রান্তিলগ্নে দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ্য ও পরিতাপের বিষয় হল  সিলেটের সকল মহলে ব্যাপক পরিচিত-সৎ-যৌগ্য-ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা প্রাক্তন ছাত্রনেতা ইকবাল বাহার চৌধুরী কে যুবদলের নেতৃত্ব দেওয়া হয় নাই।একজন খাঁটী জিয়া সৈনিক এই যুবনেতার প্রতি চরম অবিচার করা হয়েছে।দেশ বিদেশের অনেকের সাথে কথা হয়েছে ইকবাল বাহার চৌধুরী কে অবমূল্যায়নের  বিষয়ে আমরা সবাই বিস্মিত হতবাক, নেতা কমী সহ্য করতে পারছে না,আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মনে করি যাহারা দলীয় পদে প্রকৃত হকদার তাদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করা না হলে দল অভিশাপ মুক্ত থাকবে না।

যুবনেতা ইকবাল বাহার চৌধুরী বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী,আমার পরিচয় ১৯৮৪ সাল থেকে,আমি তখন স্কুলের ছাত্র,তিনি আমার পার্শবতী এলাকার অর্থাৎ সাবেক সদর(বর্তমান দক্ষিণ সুরমা) উপজেলার বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।

সকলকে অবহিত করার জন্য আমার এই লিখা।১৯৮২ সালে জেঃ এরশাদ বিএনপি কে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক শাসন জারী করে ক্ষমতা দখল করার পরে বিএনপি যখন অস্তিত্ব সংকটে ঠিক তখন ৮৩ সালের শেষ দিকে এই ইকবাল বাহার চৌধুরী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন।৮৪ সালে মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক দায়িত্ব গ্রহণ করেন,ঐ বৎসরই ঘরোয়া রাজনীতি আরম্ব হলে কামরুল হুদা জায়গিরদার কে আহবায়ক করে সিলেট জেলা ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হলে ঐ কমিটির সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য পদ লাব করে।উক্ত ২১ সদস্যের মধ্যে বর্তমানে রাজনীতিতে রয়েছেন মাত্র ৫ জন(এরা হলেনঃ- জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গিরদার,বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী,মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী বদরুজ্জামান সেলিম,ক্যানাডা বিএনপি নেতা মিছবাহুল কাদির ফাহিম ও উক্ত ইকবাল বাহার চৌধুরী)। পরবর্তীতে সিলেট শহর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক,আহবায়ক,জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকালে ৮৫ সালে উপজেলা নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছেন,৮৬ সালে সর্ব দলীয় ছাত্রঐক্যের হরতাল চলাকালে জাসদ ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত হন। আবার ৮৮ সালে মুজিববাদি ছাত্রলীগ ছাত্রদলের মিছিলে হামলা করে তাহাকে গুরুতর আহত করে,এই আহত অবস্তায় পুলিশ গ্রেফতার করে।

এই ত্যাগী সংগ্রামী ছাত্রনেতা সহ এমদাদ হোসেন টিপু ও .হাবিবুর রহমান হাবিব কে ১৯৯৪ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয় ইলিয়াস মুক্তি পরিষদ গঠন করার কারনে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন  জে: এরশাদের পথনের পরে বিএনপি ক্ষমতায় অধিস্টিত হওয়ার পরের বৎসর জাসদ ও ছাত্রলীগ থেকে সদর ৫০/ ৬০ জন নিয়ে বিএনপিতে যোগদান করার এক বৎসরের মধ্যে চরম কোন্দল দেখা দেয়,যার ফলস্রুতিতে ১২ জন ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়।এই যোগদানকারীরা দলের পদ দখল করতে মরিয়া হয়ে গ্রুফিং করে। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জেলা যুবদলের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে মাত্র ২ ভোটে পরাজিত হয়ে সহ সভাপতির দায়িত্ব পান।২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন হলে প্রথমে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী পরে ২০০৫ সাল থেকে সভাপতি পদের দাবিদার হন,কিন্তু সেই কমিটি গঠিত হয় নাই।সর্বশেষ বিগত ৪/৫ বৎসর যাবৎ সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি পদের অন্যতম দাবিদার।তিনি বরকত উল্লাহ বুলু ও আলাল এর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। 

আমরা আশা করেছিলাম স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সহ সকল আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের সাহসী বীর এই ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা কে সিলেট জেলা অথবা মহানগর যুবদলের সভাপতি করে কমিটি গঠিত হবে।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য  যে  সিলেটের যুবদলের এত পদ প্রত্যাশী যৌগ্য ত্যাগী কারা নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে মহানগর বিএনপি’র কমিটির লোক যে ব্যাক্তি জাসদ থেকে আগত একজন কে আহবায়ক করে মহানগর ও লন্ডন প্রবাসী সিলেট জেলা বিএনপির সদ্য গঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য একজন কে আহবায়ক করে জেলা যুবদলের কমিটি গঠিত হওয়ায় সকল পর্যায়ের নেতা/ কর্মী সহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন।ব্যাতিত দুঃখীত হয়েছেন , ইকবাল বাহার ভাই দল আপনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে নাই তাই দেশ বিদেশের শহিদ জিয়ার আদর্শের হাজার হাজার সৈনিক আপনার ত্যাগের মূল্যায়ন  না হওয়ায় সমব্যথী। বিএনরির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং শত শত নেতা/ কর্মী আপনি  আপনার সটিক নেতৃতের  মাধ্যমে সৃষ্টি করেছিলেন।   অত্যান্ত দংখের বিষয়  আজ টাকায় দলের কমিটি বিক্রি হবে সেটা কল্পনাই করা যায় না।একজন নব্য রাজনৈতিক ব্যাক্তি টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাবিত করে কমিটি ক্র‍্য় করে সিলেটের বিএনপি কে ধংস করে দিচ্ছেন।

আরো পড়ুন